টিভ্যাস সার্ভিসের অনৈতিক কার্যক্রমের দায় কমিশন এড়াতে পারে না
১৮ এপ্রিল ২০২১ ১৬:০৩
ঢাকা: গ্রাহকদের কাছ থেকে অনৈতিকভাবে টি-ভ্যাস সার্ভিসের নামে অনৈতিকভাবে অর্থ আদায়ের দায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন কিছুতেই এড়াতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন এর সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।
রোববার (১৮ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মহিউদ্দিন বলেন, ‘গ্রাহকদের মুঠোফোনে বিভিন্ন সেবা সংযুক্ত বা তথ্য সরবরাহের নিমিত্তে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি থেকে গত ২০১০ সাল থেকে টেলিকমিউনিকেশন ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস এর লাইসেন্স প্রদান শুরু হয়। যদিও গত ২-৩ বছরে লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে সবচেয়ে বেশি। বর্তমান এ এসেবার লাইসেন্স প্রাপ্ত মোট ১৮২ টি প্রতিষ্ঠান। গ্রাহকদের দীর্ঘদিন যাবৎ অভিযোগ ছিল তার অজান্তেই কিংবা তার অনুমতি ছাড়াই তার মুঠোফোন থেকে টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে। আমরাও এ বিষয়ে গ্রাহকদের তথ্য-উপাত্তসহ কমিশনের বিগত চেয়ারম্যান এবং বর্তমান চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করে বলেছিলাম অনৈতিক কার্যক্রম এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে টেলিকমিউনিকেশন ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস। এ সব প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের কোনো প্রয়োজন নেই এমন দাবি করেছিলাম চেয়ারম্যানের কাছে।’
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমরা এও বলেছিলাম যে যদি কোনো গ্রাহকের এই ধরনের সার্ভিস এর প্রয়োজন হয় তাহলে স্বয়ং গ্রাহক নিজেই মুঠোফোন অপারেটরের কাস্টমার কেয়ারে যোগাযোগ করে সার্ভিস গ্রহণ করবেন। কিন্তু কমিশন আমাদের কথার কোন মূল্য দেয়নি। এমনকি কমিশন থেকে যখন বলা হল দুটি প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের অজান্তে ৪৫ ও ৩০ লাখ টাকা লুটপাট করেছে। আমরা কমিশনের কাছে আবেদন করলাম যে গ্রাহকদের টাকা গ্রাহকদেরকে ফেরত দেওয়া হোক। এ ব্যাপারে আজ পর্যন্ত কমিশন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে আমাদের জানা নেই।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিটিআরসি জানিয়েছে, তিনটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কমিশন জরিমানা করেছে এবং আরও ১১টি প্রতিষ্ঠান বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়ার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। হঠাৎ করে কমিশন কেন এ ব্যবস্থা নিল সেটি পর্যালোচনা করলেই দেখা যায় যে এ সব সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কমিশন ৬.৫ শতাংশ রাজস্ব ভাগাভাগি এর অর্থ পেয়ে থাকে। অডিট রিপোর্ট জমা না দেওয়া ও ভাগাভাগি অর্থ না দেওয়ার কারণেই কমিশন মূলত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এতে প্রতীয়মান হয় যে কমিশন তাদের রাজস্ব সংগ্রহ বিষয়টি মাথায় রেখে তদন্ত ও শাস্তির ব্যবস্থা নিয়েছে। যেহেতু কমিশন অনৈতিক অর্থের ভাগ পায় তাই গ্রাহকদের অর্থ লুটপাটের দায় কমিশন এড়াতে পারেনা।
আমরা সরকারের কাছে দাবি করতে চাই এসকল অনৈতিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের সাথে কমিশনের ভিতরে কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী জড়িত আছে কিনা সে বিষয়টিও তদন্ত করে দেখার। এবং আজ আবারও দাবি করে বলতে চাই গ্রাহকদের কাছ থেকে অনৈতিকভাবে আদায়কৃত অর্থ গ্রাহকদের ফেরত দেয়া হোক। না হলে ভবিষ্যতে আমরা মহামান্য আদালত শরণাপন্ন হতে বাধ্য হব।
সারাবাংলা/ইএইচটি/একে