গ্রামীণফোনের এজিএম অনুষ্ঠিত
১৯ এপ্রিল ২০২১ ১৪:১২
ঢাকা: মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের ২৪তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৯ এপ্রিল) ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে এই এজিএম অনুষ্ঠিত হয়।
করোনা পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী এবং উপস্থিত শেয়ারহোল্ডার, কর্মী ও অন্য সদস্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করে, এ বছর ধারাবাহিক দ্বিতীয় বারের মতো ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে বার্ষিক সাধারণ সভা পরিচালনা করে গ্রামীণ ফোন।
গ্রামীণফোনের কোম্পানি সচিব এস এম ইমদাদুল হকের পরিচালনায় ভার্চুয়াল এজিএমে অংশ নেন- গ্রামীণফোনের বোর্ড চেয়ারম্যান ইয়র্গেন সি. অ্যারেন্টজ রোস্ট্রাপকে, প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমানসহ বোর্ডের সদস্য এবং প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান বলেন, ‘করোনা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমাদের কর্মী ও সাপ্লাই চেইন পার্টনারদের সুরক্ষা নিশ্চিতের পাশাপাশি সফলভাবে প্রতিষ্ঠানের কাজ পরিচালনায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে ২০২০ সালে দক্ষতার সঙ্গে আমরা আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মীদের সহায়তায়, সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে, জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনায় এবং লকডাউনে আমাদের নেটওয়ার্ক সক্রিয় রাখার ক্ষেত্রে নির্দেশনা দিয়ে সহযোগিতা করায় ও আমাদের নানা কার্যক্রমে সহযোগী হওয়ার জন্য আমরা সরকার, নিয়ন্ত্রক সংস্থা, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
গ্রামীণফোনের বোর্ড চেয়ারম্যান ইয়র্গেন সি. অ্যারেন্টজ রোস্ট্রাপকে বলেন, ‘এ বছর আমাদের লক্ষ্য হবে গ্রামীণফোনের দীর্ঘমেয়াদী টেকসই ব্যবসায়িক ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করা। আমরা কোভিড উদ্ভুত পরিস্থিতিতে প্রতিকূলতার সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশ এর স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন করছে এবং এর লক্ষ্য উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হওয়া। নিউ নরমালে গ্রাহকদের প্রয়োজন মেটানোর মাধ্যমে কানেক্টিভিটি পার্টনার হিসেবে এ যাত্রায় বাংলাদেশের ভবিষ্যতের সম্ভাবনা উন্মোচনে গ্রামীণফোন ধারাবাহিকভাবে অবদান রাখতে প্রত্যাশী। গ্রামীণফোন এ ব্যাপারে সবসময়ই অঙ্গীকারবদ্ধ।‘
গ্রামীণফোনের পরিচালনা পর্ষদ ২০২০ সালের জন্য পরিশোধিত মূলধনের ১৪৫ শতাংশ হারে (অর্থাৎ, ১০ টাকার শেয়ারে ১৪.৫ টাকা প্রতি শেয়ার) চূড়ান্ত আর্থিক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর ফলে, এ নগদ লভ্যাংশের পরে পরিশোধিত মূলধনের মোট চূড়ান্ত লভ্যাংশের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৭৫ শতাংশ, যার মধ্যে রয়েছে পূর্ববর্তী ১৩০ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ, এ হিসাবে ২০২০ সালে কর পরবর্তী মুনাফা দাঁড়ায় ৯৮.৮৬ শতাংশ।
চলতি বছর উন্নত কাভারেজ ও গ্রাহকদের প্রয়োজন মেটাতে গ্রামীণফোন তার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কার্যক্রমগত দক্ষতা এবং সঠিক কৌশল নির্ধারণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এজন্য গ্রামীণ ফোন এ বছর স্পেক্ট্রাম অকশনে অংশগ্রহণ করে এবং অতিরিক্ত ১০.৪ মেগাহার্টজ স্পেক্ট্রাম অধিগ্রহণ করে। অতিরিক্ত স্পেক্ট্রাম অধিগ্রহণ ছাড়াও, গ্রামীণফোন দেশজুড়ে ১৫ হাজার ৫০০ ফোরজি সক্ষম টাওয়ারের ঘোষণা দেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের ৫০ বছর উদযাপন করে।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এমও