‘উৎপাদনে ঘাটতি নেই, এরপরও বিদ্যুৎ বিভ্রাট কেন?’
২৪ এপ্রিল ২০২১ ২১:০০
চট্টগ্রাম ব্যুরো: বিদ্যুৎ উৎপাদনে কোনো ঘাটতি না থাকার পরও চট্টগ্রাম জুড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণ জানতে চেয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। বিদ্যুৎ খাতে সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের সুফল কারা ভেস্তে দিচ্ছে সেটা খতিয়ে দেখার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার (২৪ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন এ আহ্বান জানান।
খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘চট্টগ্রাম শহরের আসকার দিঘীর পাড়, ঈশান মহাজন রোড, হালিশহর, শরীফ কলোনিসহ বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুতের ভেলকিবাজি চলছে। ছুটির দিনেও কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হচ্ছে। আমরা জানতে পেরেছি, দেশে বর্তমানে বিদ্যুতের উৎপাদনে কোনো ঘাটতি নেই। তারপরও কি কারণে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাওয়া থেকে নগরবাসী বঞ্চিত হবে, তা আমাদের বোধগম্য নয়।’
‘করোনার সংক্রমণের কারণে দেশে লকডাউন চলছে। ভ্যাপসা গরম, তীব্র তাপদাহ চলছে। তার ওপর রমজান মাস। এমন পরিস্থিতিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকলে মানুষের কী অবস্থা হবে, সেটা আমি একবার ভেবে দেখার অনুরোধ করছি। পিডিবির চিফ ইঞ্জিনিয়ারকে বলছি, আপনার দফতরে শস্যের ভেতর ভূত আছে কি না খোঁজ নিয়ে দেখুন। বিদ্যুৎ খাতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন ভেস্তে দিচ্ছে কারা, সেটা তদন্ত করে বের করুন, শাস্তি দিন।’
চট্টগ্রাম ওয়াসার বিরুদ্ধে নিরবচ্ছিন্ন পানি সরবরাহে ব্যর্থতার অভিযোগ এনে সুজন বলেন, ‘ওয়াসা কর্তৃপক্ষ প্রতিদিনই নগরবাসীর কাছে নিত্যনতুন গল্প উপস্থাপন করে, কিন্তু বাস্তব অবস্থা হচ্ছে নগরীর অনেকগুলো এলাকা এখনও সুপেয় পানি থেকে বঞ্চিত। বিশেষ করে যে এলাকা থেকে ওয়াসার পানি প্রকল্পের শুরু সে এলাকা অর্থাৎ মোহরা ওয়ার্ডে এখনও ওয়াসার পানির লাইন নেই বললেই চলে। বাকলিয়া, খাজা রোড, রঙ্গীপাড়া, উত্তর কাট্টলী এবং পতেঙ্গা এলাকায় ওয়াসার পানি পাওয়া যেন আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার মতো। কেন, কি কারণে এসব এলাকায় পানি সরবরাহ নেই তার কোন সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা কর্তৃপক্ষের কাছে নেই। ওয়াসার পানির উৎপাদন ক্ষমতা বেড়েছে কিন্তু বিতরণ ব্যবস্থায় অদক্ষতার কারণে নগরবাসী তার কাঙ্ক্ষিত সুফল পাচ্ছে না।’
ওয়াসার অভ্যন্তরে লুকিয়ে থাকা সরকার বিরোধী কেউ সরকারের সুফল ভেস্তে দিচ্ছে কি না সেটাও খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন খোরশেদ আলম সুজন।
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম