ভারত থেকে বাংলাদেশে যাত্রী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
২৮ এপ্রিল ২০২১ ১৪:৩৫
ঢাকা: করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের সকল পথে যাত্রী চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তবে যেসকল বাংলাদেশির ভিসার মেয়াদ শেষ, তারা ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের অনুমতি নিয়ে বাংলাদেশে আসতে পারবে। তবে তাদেরকে সরকারের নিয়ম মেনে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
বুধবার (২৮ এপ্রিল) সারাবাংলাকে এসব তথ্য জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি মাথায় নিয়েই জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে আরও সাত দিন বাড়ানো হলো। আগের বিধিনিষেধে কিছু শিথিলতা আনা হয়েছে, আবার নতুন করে কিছু যোগ হয়েছে।
আরও পড়ুন: কঠোর বিধিনিষেধ ৫ মে পর্যন্ত বাড়লো
তিনি আরও বলেন, আমাদের শপিংমল অনেকদিন বন্ধ ছিল। কিন্তু মানুষের জীবিকার বিষয়টিও দেখতে হবে। তাই আমরা মানুষের স্বাস্থ্যবিধির ওপরে আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ বাড়াচ্ছি। ভারতে সংক্রমণ বিস্তার ঘটেছে। তাই ভারত থেকে সকল প্রবেশ পথে যাত্রী চলাচলে নিষেধাজ্ঞা এনেছি। তবে যেসকল বাংলাদেশির ভিসার মেয়াদ শেষ তারা বাংলাদেশ হাইকমিশনের অনুমতি নিয়ে দেশে আসতে পারবে।
এদিকে বুধবার (২৮ এপ্রিল) ঘোষিত বিধিনিষেধে বলা হয়, স্থল, নৌ ও বিমান যোগে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের (পণ্য পরিবহন ব্যাতিত) ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে শুধুমাত্র ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ বাংলাদেশিরা ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশ হাই কমিশনের অনুমতি সাপেক্ষে বিশেষ বিবেচনায় বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে বাংলাদেশে প্রবেশকারীদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিধিনিষেধ কঠোরভাবে অনুসরনের জন্য স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
আরও পড়ুন: সীমান্ত বন্ধ নিয়ে যে সিদ্ধান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন আরও বলেন, দোকান-পাট শপিং মলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে কীনা তা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করবে। এছাড়া, মধ্যপ্রাচ্য, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া এবং চীন থেকে আসা যাত্রীদের ভ্যাকসিন গ্রহণের সনদসহ নন কোভিড-১৯ যাত্রীরা নিজ বাড়িতে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকবেন। সেক্ষেত্রে তাদের আগমন ও কোয়ারেন্টাইনের বিষয় পার্শ্ববর্তী থানাকে অবহিত করতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা সকলে একটা বিশেষ অবস্থার মধ্যে আছি। সামনের দিনগুলোর মধ্যে সতর্ক থাকতে হবে। যাতে করোনা মোকাবেলা করতে পারি। যেহেতু আমরা বড় ঝুঁকির মধ্যে আছি তাই আমাদের চিন্তা করতে হবে আগামী দিনে বিধিনিষেধ মানা। বলেন, মনে রাখতে হবে জীবন আগে। জীবন বাঁচাতে প্রস্তুত থাকতে হবে। সামনে ঈদ সেটা মাথায় রেখে সকল ধর্মীয় উৎসব, ধর্মীয় সব কর্মকান্ড করতে হবে। জীবন থাকলে সব থাকবে সেটা মাথায় রাখতে হবে।
সারাবাংলা/জেআর/এএম