ভ্যাকসিন সংকট সরকারের অপরিণামদর্শী নীতির ফল: মেনন
২৯ এপ্রিল ২০২১ ২১:৫১
ঢাকা: ওয়ার্কার্স পার্টিও সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি বলেছেন, করোনা মোকাবিলায় ভ্যাকসিন নিয়ে যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে তা সরকারের অপরিণামদর্শী নীতিরই ফলাফল। একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দিতে গিয়ে সরকার এক ঝুড়িতে সব ডিম রেখেছিল। ভ্যাকসিন কূটনীতিতেও সরকারের পা ফসকে ছিল।’ ভারতে তীব্র করোনা সংকট সৃষ্টি হয়েছে, নিজ দেশের প্রয়োজন না মিটিয়ে অন্য কাউকে ভ্যাকসিন দেবে না সেটিই স্বাভাবিক।
বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে ওয়ার্কাসর্ পার্টি ঢাকা মহানগর আয়োজিত এক সমাবেশে পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি এ সব কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসাইনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর সাধারণ সম্পাদক কিশোর রায়, যুবনেতা মো. তৌহিদ, গার্মেন্টস শ্রমিক নেতা রফিকুল ইসলাম সুজন, গৃহ শ্রমিকনেতা মমতাজ বেগম প্রমুখ।
রাশেদ খান বলেন, ‘সরকার ভালোভাবে যাত্রা শুরু করলেও এখন মাঝপথে তরি ডোবার উপক্রম হয়েছে। সরকার এখন চারিদিকে পথ খুঁজছে। অক্সিজেনের ক্ষেত্রেও মাত্র দু’টি প্রতিষ্ঠান ও ভারতের ওপর নিভর্রতা একই সংকট তৈরি করছে। আর দুর্নীতিতে কোটি টাকা বাজেট বরাদ্দ থাকলেও গত এক বছরে আইসিইউ, সেন্টাল অক্সিজেন ব্যবস্থা কিছুই করা হয়নি। চলতি বছরের বাজেটে স্বাস্থ্যখাতে জরুরি প্রয়োজন মেটাতে দশ হাজার কোটি টাকা রাখা হয়েছিল। এর কতটা ব্যবহার হয়েছে, আর কতটা নয় ছয় হয়েছে তা তদন্তের দাবি রাখে। গত বছরের অঘোষিত লকডাইনে ‘দিন আনি দিন খাই’ মানুষগুলো কিছুটা সহায়তা পেয়েছিল। এবার সেটি না পাওয়ার কারণে গরিব মানুষরা খুবই কষ্টে আছে। এরইমধ্যে প্রথম লকডাউনেই আড়াই কোটি মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে নেমে গেছে। এবার সেটা কোন পর্যায়ে যাবে তা এখনই বলা যাবে না।’
তিনি বলেন, ‘সরকার ও সরকারি দল ঐক্যবদ্ধভাবে সংক্রমণ মোকাবিলার কথা বললেও সেটা কথার কথা। তারা বরং হেফাজতের সঙ্গে সমঝোতার সূত্র খুঁজতে বেশি আগ্রহী। জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দলগুলোকে বাদ দিয়ে কেবল আমলাতন্ত্রের ওপর নির্ভর করে করোনা মোকাবিলার নীতি দেশে যে রাজনৈতিক শূন্যতা সৃষ্টি করেছে তাতে দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতে বিপদাপন্ন। উন্নয়নের গাড়ির গতি পাওয়ার বদলে গর্তে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
এ অবস্থায় ওয়ার্কার্স পার্টি সহ বামপ্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তিসমূহকে হতাশা কাটিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। নতুন প্রজন্মকেই তাদের ভবিষ্যত নিশ্চয়তার দায়িত্ব নিতে হবে।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে