।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: আসন্ন উচ্চ মাধ্যামিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার সময় কেন্দ্রে ১৪৪ ধারা জারি করা হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেউই মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে না। তবে কেন্দ্রের সচিব ফোন ব্যবহার করতে পারবেন, তবে সেটা স্মার্টফোন নয়, ফোনে কোনো ক্যামেরা থাকা যাবে না।
রোববার (২৫ মার্চ) বিকেলে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা উপলক্ষে জাতীয় মনিটরিং ও আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন এবং
সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আগামী ২ এপ্রিল সারাদেশে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, পরীক্ষার প্রশ্ন ছাপানো বা বিলি করার সঙ্গে মন্ত্রণালয় সম্পৃক্ত নয়। মন্ত্রণালয় প্রশ্নপত্রও দেখতে পারে না। মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১০টি শিক্ষা বোর্ড এই প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করে। জাতীয় স্বার্থে মন্ত্রণালয় সরাসরি সম্পৃক্ত থাকে। কিন্তু সবাই বলছে মন্ত্রণালয় থেকে প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে।
তিনি বলেন, মোবাইল নিয়ে কোন শিক্ষক কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না। কোনো শিক্ষার্থী অপরাধ করলে যদি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যায়, তাহলে শিক্ষকের কেন যাবে না। কোনো শিক্ষক বা পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেউ এই নির্দেশনা না মানলে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের অবশ্যই পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে। কেই যদি দেরি করে তাহলে ওই শিক্ষার্থীকে কারণ জানাতে হবে। তার নাম ও রোল নম্বর লিপিবদ্ধ করে বোর্ডকে তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে হবে।
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, এবার অনেক সেট প্রশ্নপত্র ছাপা হবে। সব সেট প্রশ্নপত্র পরীক্ষা কেন্দ্রে যাবে। বোর্ড থেকে লটারি করে কোন কেন্দ্রে কোন সেট দিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে তা ২৫ মিনিট আগেই জানানো হবে। তারপর ওই কেন্দ্রের সচিব ও ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে প্রশ্নপত্রের সেট খোলা হবে।
প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে যে তথ্য সামনে আসছে তার অধিকাংশই মিথ্যা। এর পেছনে সংঘবদ্ধ শক্তি রয়েছে, যারা আমাদের মন্ত্রণালয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এই ব্যবপারে কাজ করছে।
শিক্ষা সচিব জানান, প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। প্রশ্নপত্র বোর্ড থেকে যাওয়ার পর প্রতিটি সেটের জন্য আলাদা আলাদা প্যাকেট হবে। আর প্যাকেটের ওপর একটি সিকিউরিটি লেভেল থাকবে। যা ছিঁড়ে ফেলার পর আর লাগানো যাবে না। আর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া আর কেউ প্রশ্নপত্র নিতে পারবে না। সচিব জানান, সরকার সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা পরিচালনা করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। দায়িত্ব অবহেলা করলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাড়ে সাত নম্বরের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। কিন্তু এমনভাবে প্রচার করা হয়েছে- পুরো প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে। আমরা দায় এড়ানোর জন্য কিছু বলছি না। কিন্তু মিডিয়ার প্রচারটাও বুঝে শুনে হওয়া উচিৎ, বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
সারাবাংলা/এইচএ/এটি