৩ ট্রাইব্যুনাল ও ১ দেওয়ানি আদালতে শারীরিক উপস্থিতিতে মামলা চলবে
৩ মে ২০২১ ১৯:৩৩
ঢাকা: করোনা ভাইরাসের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে লকডাউন চলাকালে দেশের তিনটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল এবং সাইবার ট্রাইব্যুনালে শারীরিক উপস্থিতিতে নালিশি মামলা দায়ের করা যাবে। এ ছাড়া অধস্তন দেওয়ানি আদালতে শারীরিক উপস্থিতিতে সাকসেশন মামলা শুনানি ও নিষ্পত্তি করা যাবে।
রোববার ও সোমবার (২ ও ৩ মে) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিশেষ ট্রাইব্যুনালে শারীরিক উপস্থিতিতে মামলা দায়ের প্রসঙ্গে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাস (কোভিড- ১৯) জনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি এবং শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব কঠোরভাবে অনুসরণ করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল এবং সাইবার ট্রাইব্যুনালে নালিশি মামলা করা যাবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিচারক শারীরিক উপস্থিতিতে অভিযোগকারীর জবানবন্দি গ্রহণ করবেন এবং এজলাস কক্ষে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনসহ সামাজিক দূরত্ব বজায় নিশ্চিত করে প্রয়োজনীয় পদ্ধতি নির্ধারণ করবেন।
আর দেওয়ানী আদালতে শারীরিক উপস্থিতিতে সাকসেশন মামলার শুনানি ও নিস্পত্তি প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসজনিত (কোভিড- ১৯) উদ্ভূত পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি এবং শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব কঠোরভাবে অনুসরণ করে অধস্তন দেওয়ানী আদালতে শারীরিক উপস্থিতিতে সাকসেশন মামলা শুনানি ও নিস্পত্তি করা যাবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট বিচারক স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনপূর্বক সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রয়োজনীয় সাক্ষ্যগ্রহণপূর্বক সাকসেশন মামলাসমূহ চূড়ান্তভাবে নিস্পত্তি করবেন।
এর আগে গত ১১ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে। সেখানে বলা হয়, মহামারির ব্যাপক বিস্তার রোধে ১২ এপ্রিল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে জামিন ও অতি জরুরি ফৌজদারি আবেদন নিষ্পত্তি করার উদ্দেশ্যে আদালত ও ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
এ ছাড়া সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় প্রত্যেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক বা একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে শারীরিক উপস্থিতিতে দায়িত্বপালন করবেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সারাবাংলা/কেআইএফ/একে