চমেকে মারামারি: মামলা প্রত্যাহার দাবি ছাত্রলীগের একাংশের
৫ মে ২০২১ ১৯:৫৮
চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) মারামারির ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে কলেজ ছাত্রলীগের একাংশ, যারা শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। তাদের দাবি, বিএমএ নেতা মোহাম্মদ ফয়সল ইকবাল চৌধুরীর ইন্ধনে তাদের ওপর হামলা করে উল্টো তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (৫ মে) চমেক ছাত্রলীগের নেতা হিসেবে পরিচিত বিভিন্ন বর্ষের ছাত্র তৌফিকুর রহমান, অভিজিৎ দাশ, রিয়াজুল ইসলাম জয় এবং মো. সাইফুল্লাহ গণমাধ্যমে এ বিবৃতি পাঠিয়েছেন।
গত ২৭ এপ্রিল সন্ধ্যার পর থেকে চমেক ক্যাম্পাসে ও ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, হাতাহাতি-মারামারি হয়। এতে অন্তঃত পাঁচজন আহত হন। আহতদের মধ্যে দু’জন ইন্টার্ন চিকিৎসকও। সংঘাতে জড়িত দু’গ্রুপ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
সংঘাতের জেরে চারদিন চিকিৎসা সেবা বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করেন ইন্টার্ন চিকিৎসকদের একাংশ। এদিকে গত ৩০ এপ্রিল উভয় গ্রুপের পক্ষ থেকে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের করা হয়। উপমন্ত্রী নওফেলের অনুসারী চমেকের পঞ্চম বর্ষের ছাত্র রিয়াজুল ইসলাম জয় বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এতে ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়। অন্যদিকে সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. হাবিবুর রহমান বাদি হয়ে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। এতে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাতনামা ৭০-৮০ জনকে আসামি করা হয়।
উপমন্ত্রী নওফেলের অনুসারী ছাত্রলীগ নেতারা তাদের ওপর আকস্মিক হামলার দাবি করে বিবৃতিতে জানিয়েছেন, হামলায় চমেক ছাত্রলীগ কর্মী তৌফিকুর রহমান ইয়ন, রিয়াজুল ইসলাম জয়, অভিজিৎ দাশ, মির্জা দীপ্ত, আতাউল্লাহ বোখারীসহ আরও অনেকে আহত হয়েছেন। হামলাকারীরা বিএমএ নেতা ডা. মোহাম্মদ ফয়সল ইকবালের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ নামে অনুমোদনহীন একটি সিন্ডিকেট এবং ছাত্রলীগ নামধারী অনুমোদনহীন একটি অবৈধ কমিটিতে যুক্তরা দীর্ঘদিন ধরে চমেক হাসপাতালে দালালি ব্যবসা করছে। তারা অ্যাম্বুলেন্স স্ট্যান্ড থেকে চাঁদা আদায় করে, হাসপাতাল সংলগ্ন ওষুধের দোকান, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারেও চাঁদাবাজি করে। তাদের মদদদাতা ফয়সল ইকবাল দুর্নীতি দমন কমিশনের চিহ্নিত শীর্ষ দুর্নীতিবাজ। হাসপাতালের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, চিকিৎসকদের হুমকি-ধমকিসহ তাদের বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে এই হাসপাতালের সেবার মান বিঘ্নিত হচ্ছে। ক্যাম্পাসে শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে।
ছাত্রলীগ নেতারা সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত সবাইকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে করা মামলাকে মিথ্যা উল্লেখ করে প্রত্যাহারের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সারাবাংলা/আরডি/একে