রাবিতে নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ
৬ মে ২০২১ ১৫:১৫
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নিয়োগ বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (৬ মে) বেলা ১২টার দিকে রাবি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালায় চাকরি প্রত্যাশী মহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে গেলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সংঘর্ষ ও পুলিশের লাঠিচার্জে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চাকরি প্রত্যাশী মহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আব্দুল্লাহ আল মামুন ও সেকশন অফিসার মাসুদের উপর হামলা চালান। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন। এ সময় রাবি ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা এগিয়ে এলে তাদের উপরও হামলা করা হয়। পরে রাবি ছাত্রলীগ সংগঠিত হয়ে ধাওয়া করলে মহানগর ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে মহানগর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাস থেকে বেড়িয়ে যান।
রাবির সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও সেকশন অফিসার কামরুজ্জামান চঞ্চল জানান, আজ রাবি ভিসি আব্দুস সোবহানের মেয়াদের শেষ দিন। তিনি চাকরি প্রত্যাশী ১২৫ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে নিয়োগ দিয়েছেন বলে প্রচার হলে মহানগর ছাত্রলীগের চাকরি প্রত্যাশীরা ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়। এ সময় তারাও চাকরি দাবি করে এবং তাদের এমন ভাব যেন এখনই তাদের নিয়োগ দিতে হবে। এ নিয়ে সেকশন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তারা হামলা চালায়। এ সময় আমি এগিয়ে গেলে তারা আমাকেও লাঞ্ছিত করে।
তিনি বলেন, ঘটনার সময় রাবি ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী সেখানে ছিল। তারা এগিয়ে আসলে তাদের উপরও হামলা করা হয়। পরে রাবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সংগঠিত হয়ে তাদের ধাওয়া দেয়। এ সময় পুলিশ এসে লাঠিচার্জ শুরু করলে দুইপক্ষই ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়
জানতে চাইলে ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক সুলতানুল ইসলাম টিপু বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি উপাচার্য অবৈধভাবে ১২২ জনকে নিয়োগ দিয়েছেন। এতে মতনৈক্য হওয়ায় উভয় পক্ষের সংঘর্ষ হয়।’
নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞা থাকা অবৈধ নিয়োগ সংক্রান্ত কোনো বিষয়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই। নিয়োগ হয়েছে কি না সেটাও আমার জানা নেই।’
এ বিষয়ে জানতে উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহানকে ফোন করলে তিনি তা রিসিভ করেন নি এবং এসএমএস পাঠালেও রিপ্লাই দেননি উপাচার্য।
সারাবাংলা/এসএসএ