ফেরি বন্ধ: ঝুঁকি নিয়ে মাছ ধরা ট্রলারে ঈদযাত্রা
৯ মে ২০২১ ০৯:৩৭
মুন্সিগঞ্জ: গতকাল শনিবার মানবিক কারণে দুএকটি ফেরি যাত্রী নিয়ে শিমুলিয়া ও পাটুরিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে গেলেও কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে যাত্রীবাহী ফেরি চলাচল। যাত্রীদের চাপ নিয়ন্ত্রণে এসব ফেরিঘাটে পাঠানো হয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের। অন্যদিকে মানুষও ঈদে ঢাকায় থাকতে নারাজ। যেকোনো মূল্যে বাড়ি যেতে বন্ধপরিকর তারা। এ অবস্থায় অনেকেই ঝুঁকি নিয়ে মাছ ধরা ট্রলারে পাড়ি দিচ্ছে খরস্রোতা পদ্মা। এতে যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
শিমুলিয়া ঘাট এলাকা পরিদর্শন ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পুরনো মাওয়া ঘাট এলাকার মাছ ধরা শতাধিক ট্রলার এখন আড়ালে-আবডালে যাত্রী পারাপারে ব্যস্ত রয়েছে। তারা কান্দিপাড়া ঘাট এলাকার নির্জন জায়গা থেকে যাত্রী নিয়ে পাড়ি জমাচ্ছেন শরিয়তপুরের মাঝিরপাড়া চর এলাকায়। সেখান থেকে ভিন্ন ভিন্ন পরিবহনে গন্তব্যে পৌঁছাবেন এসব যাত্রীরা।
এদিকে সোমবার (৯ মে) সকালেও শিমুলিয়া ঘাটে সহস্রাধিক যাত্রীকে অপেক্ষমাণ দেখা গেছে। তারা আশায় রয়েছেন যদি আজও দুএকটা যাত্রীবাহী ফেরি ছেড়ে যায়! তবে ঘাট কর্তৃপক্ষ বলছেন, গত পরশু রাতে ফেরি চলাচলের ঘোষণা আসায় অনেক যাত্রী গতকাল ভুলে করে চলে এসেছিল। এজন্য মানবিক কারণে কয়েকটি যাত্রীবাহী ফেরি ছেড়ে গেছে। তবে আজ সেই সুযোগ নেই বললেই চলে।
এর আগে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে শুক্রবার (৭ মে) দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটএ) জানায়, ফেরিতে করে দিনের বেলায় যাত্রী পারাপার বন্ধ থাকবে। রাতে কেবল জরুরি পণ্য ও অ্যাম্বুলেন্স পারাপার করবে ফেরিগুলো।
পরদিন শনিবার সকাল থেকেই শিমুলিয়া ও পাটুরিয়া ঘাটে মানুষের ঢল নামে। হাজারো যাত্রীর চাপে শেষমেষ শিমুলিয়া ঘাট থেকে কয়েকটি ফেরি ছেড়ে যায়।
শিমুলিয়া ঘাটের বিআইডব্লিউটিএ ট্রাফিক ব্যবস্থাপক সাহাদাৎ হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, বিধিনিষেধে কর্মস্থল ত্যাগ করার বিষয়ে সরকারিভাবে আছে। তারপরও ঈদ সামনে রেখে দক্ষিণাঞ্চলের ঘরমুখো মানুষের সকাল থেকেই শিমুলিয়া ঘাটে আসতে শুরু করে। সকালে যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপের কারণে শিমুলিয়া পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষ থেকে বিভিন্নভাবে মাইকিং করে ঘাট ত্যাগ করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। কিন্তু কেউ কথা শুনছে না।
সারাবাংলা/এএম