।। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ।।
২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উদযাপনের রাতে সংঘর্ষে মেতে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপ।
সংঘর্ষে ছাত্রলীগের দুই জন নেতা-কর্মী আহত হলে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হল শাখা ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, হলের মধ্যে মোমবাতি প্রজ্জ্বালনের পর ছাত্রলীগের নেতারা ক্যান্টিনে খেতে যান। এ সময় সভাপতি সোহানুর রহমানের অনুসারীরা উচ্চস্বরে কথা বললে সাধারণ সম্পাদক আসিফ তালুকদারের অনুসারীরা তাদের আস্তে কথা বলতে বলেন।
তারা আস্তে কথা না বললে সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা তাদের ওপর রেগে গেলে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনার পরে হলের গেমস রুমে সাধারণ সম্পাদক আসিফ তালুকদারের অনুসারীরা খেলতে গেলে সভাপতি সোহানুর রহমানের অনুসারীরাও খেলতে যান। তখন সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের নেতাকর্মীদের খেলা শেষ করতে বললে উভয়ের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। এই ঘটনার আধাঘন্টা পর উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে আবারও রড, লাঠিসহ বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা রড, লাঠিসহ বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে সভাপতির অনুসারীদের ধাওয়া দেয়।
এর কিছুক্ষণ পর সভাপতি গ্রুপের নেতাকর্মীরা রড, লাঠি নিয়ে জড়ো হয়ে আবারও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় হলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে হলের দুইজন আবাসিক শিক্ষক, হল ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঘটনাস্থলে আসলেও নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করতে দেখা যায়। এক পর্যালয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।
এই ঘটনায় সভাপতি গ্রুপের তৃতীয় বর্ষের মো. বায়োজিদ ও সাধারণ সম্পাদকের গ্রুপের সহসম্পাদক মনিরুজ্জামান আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন উভয় গ্রুপের ছাত্রলীগের নেতারা।
এ বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. দেলওয়ার হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে দুজন আবাসিক শিক্ষককে পাঠানো হয়েছে। তারা গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। আমরা বিষয়টি দেখবো।
হল সভাপতি সোহানুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আসিফ তালুকদার বলেন, হলের জুনিয়ররা মারামারি করেছে। আমরা গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করি। এখন সব ঠিক আছে। সোহানুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি আবিদ আল হাসান ও আসিফ তালুকদার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্সের অনুসারী। এ বিষয়ে দুজনের সঙ্গে যোগাযোগ করা চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।
সারাবাংলা/আরএম/এমআই