Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রোজিনা ইসলামের জামিন নিয়ে আদেশ রোববার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২০ মে ২০২১ ১৬:০২

ঢাকা: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়ের করা মামলায় প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের জামিন আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। তার জামিন বিষয়ে আদেশের জন্য রোববার দিন ঠিক করেছেন আদালত।

সরকারি গোপন নথি চুরির অভিযোগে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট ও দণ্ডবিধির কয়েকটি ধারায় রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ মে) ঢাকা মহানগর হাকিম বাকো বিল্লাহর ভার্চুয়াল আদালতে রোজিনার জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর দুইটায় শুনানি শেষে বিকেল চারটায় আদেশের জন্য রোববার দিন ধার্যের কথা জানানো হয়।

এর আগে, সোমবার (১৭ মে) রাতে শাহবাগ থানায় মামলা দায়েরের পর মঙ্গলবার (১৮ মে) রোজিনাকে আদালতে নেওয়া হয়েছিল। ওইদিন পুলিশের রিমান্ড আবেদন নাকচ করে দিয়ে এবং রোজিনার জামিন আবেদন অনিষ্পন্ন রেখে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে জামিন আবেদনের বিষয়ে শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেন।

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে গ্রেফতারের পর থেকেই তার মুক্তির দাবিতে সরব হয় দেশের সকল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও সংগঠনসমূহ। এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থা। সিনিয়র এই সাংবাদিকের মুক্তির দাবিতে লাগাতার কর্মসূচির ঘোষণা ছিল বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা রিপোর্টারস ইউনিটিসহ দেশের প্রায় সকল সাংবাদিক সংগঠনের। রোজিনা ইসলামের মুক্তির দাবিতে গত দুইদিন সারাদেশে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছেন সাংবাদিকেরা।

এর আগে ১৭ মে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শিব্বির আহমেদ বাদী হয়ে রোজিনার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ১৮৬০ সালের পেনাল কোডের ৩৭৯ ও ৪১১ ধারা এবং অফিসিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্টের ৩ ও ৫ ধারা অনুযায়ী রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মামলার এজাহারে বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবের একান্ত সচিবের দফতরে প্রবেশ করেন রোজিনা ইসলাম। এ সময় একান্ত সচিব দাফতরিক কাজে সচিবের কক্ষে অবস্থান করছিলেন। রোজিনা ইসলাম দাফতরিক গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র শরীরের বিভিন্ন স্থানে লুকান এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ছবি তোলেন। ঘটনার সময় সচিবের দফতরে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য মো. মিজানুর রহমান খান বিষয়টি দেখতে পেয়ে তাকে বাধা দেন এবং তিনি নির্ধারিত কর্মকর্তার অনুপস্থিতিতে কক্ষে কী করছেন, তা জানতে চান।

অভিযোগে আরও বলা হয়, এ সময় রোজিনা ইসলাম নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেন। পরবর্তী সময়ে অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগম, উপসচিব জাকিয়া পারভীন, সিনিয়র সহকারী সচিব শারমীন সুলতানা, সচিবের একান্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলাম ভূঞা, সিনিয়র সহকারী সচিব মোসাদ্দেক মেহদী ইমাম, অফিস সহায়ক মো. মাহফুজুল ইসলাম, সোহরাব হোসেনসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও স্টাফরা ঘটনাস্থলে আসেন এবং অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগম তল্লাশি করে রোজিনা ইসলামের কাছ থেকে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র এবং ডকুমেন্টসের ছবি সম্বলিত মোবাইল উদ্ধার করেন। বর্ণিত ঘটনায় প্রতীয়মান হয় যে ডকুমেন্টসগুলো রোজিনা ইসলাম চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় সচিবালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে শাহবাগ থানার মহিলা পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তাকে জিম্মায় নেন।

সারাবাংলা/এআই/এএম

রোজিনা ইসলাম

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর