কক্সবাজারে করোনা মোকাবিলায় যৌথ জনস্বাস্থ্য নীতির সাফল্য
২৩ মে ২০২১ ১০:৩৮
ঢাকা: বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার অস্থায়ী ক্যাম্পগুলোতে, যেখানে মিয়ানমার থেকে সেনা অভিযানের মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ১১ লাখ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে, করোনা সংক্রমণ কমানো এবং করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্তদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে সামনে এসেছিল।
২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং ক্যাম্পগুলোতে কর্মরত স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর যৌথ জনস্বাস্থ্য নীতির অধীনে মানসম্মত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে ১৪ টি আইসোলেশন সেন্টার তৈরি করা হয়।
মোট ১২০০ শয্যার ওই আইসোলেশন সেন্টার গুলো রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং হোস্ট কমিউনিটি উভয় পক্ষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখছে বলে ডব্লিউএইচও’র ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ওই আইসোলেশন সেন্টারগুলোতে প্রাথমিক, মধ্যম পর্যায়ের এবং সংকটাপন্ন করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয়তার প্রেক্ষিতে অক্সিজেন সরবরাহও নিশ্চিত করা হচ্ছে।
এদিকে, যৌথ জনস্বাস্থ্য নীতির অধীনে স্বাস্থ্যসেবা কর্মীরা শরণার্থী এবং হোস্ট কমিউনিটির বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছেন। যে কারণে সাম্প্রতিক সময়ে করোনা সংক্রমণ কিছুটা বাড়লেও সেন্টারে এসে চিকিৎসা নেওয়া রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, কক্সবাজার জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাড়ে আট হাজারে। যার মধ্যে ৯৩ শতাংশই হোস্ট কমিউনিটির অংশ। কিন্তু, আইসোলেশন সেন্টারগুলোরমাত্র ২৭ শতাংশ শয্যায় রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে।
তাই, এ পরিস্থিতিতে করোনা মোকাবিলায় অংশীদারদের যৌথ জনস্বাস্থ্য নীতির সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সারাবাংলা/একেএম
কোভিড-১৯ নভেল করোনাভাইরাস বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) রোহিঙ্গা ক্যাম্প