শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে মানববন্ধনে খুবি শিক্ষার্থীরা
২৪ মে ২০২১ ১৪:৪২
স্বাস্থ্যবিধি মেনে অবিলম্বে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে মানববন্ধন করেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সোমবার (২৪ মে) সকাল সাড়ে ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে শিক্ষার্থীদের এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থীরা যত দ্রুত সম্ভব দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার দাবি জানান। তারা জানান, দীর্ঘ ১৪ মাস আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এতে অনেক শিক্ষার্থী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। স্বাস্থ্য বিধি মেনে যদি মার্কেট, শপিং মল, পর্যটনকেন্দ্র, গণ-পরিবহন চলতে পারে তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও অবশ্যই চলতে পারবে বলে দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ডিসিপ্লিনের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। এই মেরুদণ্ড নষ্ট করবেন না। শিক্ষার্থীদের কথা ভাবুন। আমাদের দুঃখ দুর্দশার কথা একবার চিন্তা করুন। আমাদেরকে বাঁচান। অনতিবিলম্বে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিন।
তিনি আরও বলেন, সব কিছু খোলা রেখে শুধুমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কোনো মানেই হয় না, এটা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। আমরা অতি দ্রুত আমাদের ক্যাম্পাসে ফিরতে চাই। কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের অনুরোধ সেশনজট না বাড়িয়ে অবিলম্বে ক্লাসে ফেরার ব্যবস্থা করুন।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী রমজান শেখ তারিম বলেন, করোনার এই দীর্ঘ সময়ে কতজন শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে আর কতজন মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে যাচাই করে দেখুন। শিক্ষার্থীদের মেন্টাল প্রেশার থেকে মুক্তি দিতে আশা করছি সরকার কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
আরেক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার জন্য আমলাদের সাথে নয় আমাদের শিক্ষকদের সাথে কথা বলুন। তারা অবশ্যই ভালো সিদ্ধান্ত এবং পরামর্শ দিবে। বাড়ি থেকে অনেকেই বিপথে চলে যাচ্ছে। বিপথে যাওয়ার আগেই তাদের ক্লাসে ফেরার ব্যবস্থা করার জন্য শিক্ষামন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করছি। আজ কাল না করে অতি দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিন। তা না হলে আমরা আরো কঠিন কর্মসূচি গ্রহণ করতে বাধ্য হবো।
উল্লেখ্য, করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালের ১৮ মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। যা পরবর্তীতে কয়েক ধাপে বাড়ানো হয়। ফলে প্রায় দেড় বছর ধরে দেশের সকল শিক্ষপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রয়েছে।
সারাবাংলা/এএম