ইয়াসের প্রভাবে ভোলায় ২৫ গ্রাম প্লাবিত
২৫ মে ২০২১ ১৮:৩৫
ভোলা: ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ভোলার বিভিন্ন নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় দেড় থেকে দুই ফুট বৃদ্ধি পেয়ে জেলার ৫টি উপজেলার নিম্নাঞ্চলের প্রায় ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় ২০ হাজার মানুষ। এছাড়াও মাছ ধরা ট্রলার, ফসলি জমি, হাঁস-মুরগি, পুকুর ও মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে গেলে। এতে কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্থদের।
মঙ্গলবার (২৫ মে) ভোরের দিকে নদীর অতি জোয়ারের পানিতে ভোলার বোরহানউদ্দিন, দৌলতখান, তজুমদ্দিন, চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলার প্রায় ২৫ গ্রাম প্লাবিত হয়।
পানিবন্দী আব্দুল রহমান, বেলেয়াতসহ কয়েকজন জানান, তারা ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন। ভোরের দিকে হঠাৎ জোয়ারের পানি তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে ঘর তলিয়ে যায়। এছাড়াও ফসলি জমি, হাঁস-মুরগি, পুকুর ও ঘেরের মাছ ভেসে গেছে।
তারা আরও জানান, ঘুর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেই আমরা এখন পানিবন্দী হয়ে জীবন কাটাচ্ছি। এখন সরকার যদি আমাদের সহযোগিতা করে তাহলে আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারব।
দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিএস ভুট্টো তালুকদার ও চরফ্যাশনের ঢালচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালাম হাওলাদার জানান, অতি মাত্রায় জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়ে সৈয়দপুরের নিম্নাঞ্চলের ৪টি গ্রামের পাঁচ শতাধিক ঘর তলিয়ে প্রায় দুই হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এছাড়াও ঢালচরের তিনটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে তিন শতাধিক ঘর তলিয়ে প্রায় তিন হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
তারা আরও জানান, পানিবন্দীরা বর্তমানে অনিরাপদে জীবন কাটাচ্ছেন। এছাড়া জোয়ারের পানিতে তাদের বাড়িঘর, ফসলি জমি, হাঁস-মুরগি, পুকুর ও ঘেরের মাছ ভেসে গিয়েছে।
কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের লে. তাহসিন রহমানান জানান, আমরা চরফ্যাশন উপজেলার চর মানিকা ও ঢালচর, মনপুরার চর নিজামেন পানিবন্দী মানুষকে নিরাপদে আশ্রয়ে নেওয়ার জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছি। আশাকরি সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসতে পারব।
ভোলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) উপ-পরিচালক আব্দুল রশিদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে জেলার নিম্নাঞ্চলের অনেক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আমরা সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়া জন্য বলে আসছি।
সারাবাংলা/এনএস