মোংলা উপকূলে ইয়াস আতঙ্ক
২৫ মে ২০২১ ১৯:৪৯
মোংলা (বাগেরহাট): প্রাকৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকা মোংলা উপকূলের মানুষের মধ্যে নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। প্রবল এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলে উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
তবে, কোস্ট গার্ড, বন্দর এবং উপজেলা প্রশাসন থেকে বলা হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ মে) সকাল থেকেই বন্দরে অবস্থানরত দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ ও পশুর চ্যানেলে থাকা লাইটারেজ ও কার্গো জাহাজসহ সকল নৌ যানকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে নির্দশনা দিয়েছে বন্দরের হারবার বিভাগ। কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে বন্দরের দুই স্থানে।
এ ব্যাপারে মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা সারাবাংলাকে জানান, ঘুর্ণিঝড় ইয়াস বন্দর উপকূলে আঘাত হানলে, তাৎক্ষণিকভাবে মানুষের জানমাল ও বন্দরের সব স্থাপনা রক্ষায় ইতোমধ্যেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে, নৌ বাহিনী, কোস্টগার্ড ও বন বিভাগ তাদের জলযানগুলো বন্দরের জেটিসহ বিভিন্ন এলাকায় নিরাপদ স্থানে সরিয়ে রেখেছে।
মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের জোনাল কমান্ডার ক্যাপ্টেন এম হাবিব উল আলম সারাবাংলাকে জানান, সমুদ্র এবং পশুর চ্যানেল প্রচন্ড উত্তাল। সাইক্লোন সম্পর্কে বিভিন্ন সচেতনতামূলক প্রচারণার পাশাপাশি উপকূলীয় এলাকার হতদরিদ্র এবং অসহায় মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছানো এবং জরুরি ত্রাণ সামগ্রীর ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে কোস্টগার্ড।
এছাড়াও, ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য একটি মেডিকেল টিমসহ দুর্গতদের খাদ্য সরবরাহে পৃথক-পৃথক টিম গঠন করা হয়েছে। ইয়াস পরবর্তী উদ্ধার অভিযান ও ত্রাণ বিতরনের জন্য একটি কার্গো জাহাজ ও ১০টি ট্রলার প্রস্তুত রেখেছে মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার (২৫ মে) সকাল থেকে বন্দরজুড়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। কোস্টগার্ড সদস্যরা সুন্দরবন সংলগ্ন জেলেদের দ্রুত সরিয়ে নেওয়া এবং সচেতনতা তৈরির কাজ করছে।
কোষ্টগার্ড বলছে, নৌ পথে মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে ১২টি ষ্টেশনে বড় ৪টি জাহাজসহ ২০টি জলযান প্রস্তুত রেখেছে তারা।
অপরদিকে, মোংলা উপজেলার পৌরসভা এবং ইউনিয়নগুলোতে ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসুচি (সিপিপি)’র এক হাজার ৩২০ স্বেচ্ছাসেবক সিগন্যাল, উদ্ধার, আশ্রয়, প্রাথমিক চিকিৎসা ও কার্যক্রমের জন্য সরঞ্জামাদি নিয়ে প্রস্তুত রয়েছে। ইয়াস সংক্রান্ত যে কোনো তথ্য সার্বক্ষণিক তাদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে সিপিপি’র স্বেচ্ছাসেবকরা।
সারাবাংলা/একেএম