আইসিটি প্রভাষকদের এনটিআরসিএ’র গণবিজ্ঞপ্তিতে সুযোগ দিতে রুল
২৫ মে ২০২১ ২১:১৬
ঢাকা: বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি এবং কম্পিউটার প্রভাষকদের এনটিআরসিএর তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সুযোগ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ ও কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব, এনটিআরসির চেয়ারম্যানসহ পাঁচজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ মে) এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী উজ্জ্বল পাল। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী গোলাম আজম। রিটে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ ও কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব, এনটিআরসির চেয়ারম্যানসহ পাঁচ জনকে বিবাদী করা হয়।
রিটকারীদের আইনজীবী উজ্জ্বল পাল জানান, গত ৩০ মার্চ এনটিআরসিএ এমপিওভুক্ত ও নন-এমপিওভুক্ত স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোট ৫৪ হাজার ৩০৪ জন শিক্ষক নিয়োগের জন্য তৃতীয় গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ওই গণবিজ্ঞপ্তিতে তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি এবং কম্পিউটার বিষয়ে সারাদেশে প্রায় ৭ হাজার শূন্যপদ দেখানো হয়।
২০২১ সালে জারি হওয়া বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা, ২০২১ সালের শেষ দিকে জারি হওয়া সংশোধিত মাদরাসা জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংশোধিত জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা অনুসারে প্রভাষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা পরিবর্তন করা হয়। এতে করে এই আবেদনকারীরা বাদ পড়েন। এরপর তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০১৮ ও ২০২১ সালের নীতিমালা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। ওই রিটের শুনানি শেষে আজ আদালত এ আদেশ দেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম