Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সুন্দরবনের ক্যাম্পগুলোতে বিশুদ্ধ পানির সংকট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৬ মে ২০২১ ২৩:০৭

ঢাকা: জলোচ্ছ্বাস এর কারণে সুন্দরবনের কর্মরত বন রক্ষীদের ক্যাম্প গুলোতে বিশুদ্ধ ও মিষ্টি পানির সংকট দেখা দিয়েছে। সুন্দরবনের মধ্যে মিষ্টি পানির জন্য যে সমস্ত পুকুর পালন করা হয়েছে, তাতে লবণাক্ত পানি ঢুকে পড়ায় এই সংকট দেখা দেয়। সংশ্লিষ্টরা বলেছে, খাদ্যের তেমন সংকট নেই। তবে নদী র পরিস্থিতি দু-একদিনের মধ্যে স্বাভাবিক না হলে খাদ্য সংকট দেখা দেবে।

কটকা, কচুখালী, দুবলার চর, কয়রা, আংটিয়া ক্যাম্পগুলোতে কর্মরত বন রক্ষীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিশুদ্ধ মিষ্টি পানির সংকট দেখা দিয়েছে। তাদের এলাকায় এবং আশপাশে মিষ্টি পানির জন্য যে পুকুর ছিল তাতে লবণাক্ত পানি প্রবেশ করেছে। সাধারণত বনরক্ষীরা এবং বন্যপ্রাণীরা ওইসব পুকুর থেকে পানি পান করে। বনরক্ষীরা পুকুর থেকে পানি সংগ্রহ করে তা বিশুদ্ধ করে পান করে থাকে। এই জলোচ্ছ্বাসের কারণে পুকুরের পানি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

বন রক্ষীরা জানায়, সুন্দরবনের ভিতরে যে পানি জমে ছিল তা নেমে গেছে। উঁচু স্থানে আশ্রয় নেওয়া বন্যপ্রাণীরা ও গভীর বনের মধ্যে চলে গেছে। তবে রাত্রের জোয়ারে পানি আবার বৃদ্ধি পেতে পারে এই আশঙ্কায় করছে তারা।

বনরক্ষীরা জানায়, অত্র এলাকায় হালকা বৃষ্টি সহ দমকা হাওয়া অব্যাহত রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ গুলোর বন রক্ষীদের নিরাপদে আনা হয়েছে।

দুবলার চর এলাকায় বনরক্ষী প্রলদ চন্দ্র জানায় তাদের ক্যাম্পের ১০/১২ জন আশ্রয় কেন্দ্রে নিরাপদে রয়েছে। তিনি জানান এই ঘূর্ণিঝড়ে দুবলার চরের ক্যাম্পের একটি ঘর উড়িয়ে নিয়ে গেছে। এছাড়া জানমালের কোনো ক্ষতি হয়নি। বন্যপ্রাণীদের ক্ষতি হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত নয়। কারণ এখনো প্রচণ্ড দমকা হাওয়া বইছে।

এ সব বিষয় নিয়ে শরণখোলা রেঞ্জের বন কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন জানান, পানির সংকট হয়েছে, তবে সব জায়গায় নয়। তারপরও এই সংকট দূর করার জন্য শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তিনি জানান বন রক্ষীদের খাবার সংকট হওয়ার কথা নয় কারণ তারা একসাথে সাত দিন ১৫ দিনের খাবার সংগ্রহ করে রাখে। তারপরও বিষয়টি দেখা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এই জলোচ্ছ্বাসে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তার জরিপ করার কাজ পরিস্থিতি শান্ত হলেই শুরু করা হবে।

বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে প্রাথমিকভাবে সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগে অন্তত ৭৮ লাখ টাকা ও পূর্ব বিভাগে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে

ইয়াস ঘূর্ণিঝড় ইয়াস টপ নিউজ সুন্দরবন


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর