Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘অনলাইন বাজার জনপ্রিয়তা লাভ করছে, ডাক বিভাগ পিছিয়ে থাকলে হবে না’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৭ মে ২০২১ ১৪:২৮

ফাইল ফটো

ঢাকা: ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে ডাকঘর সেবাকে জনগণের দোরগোঁড়ায় পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এখন অনলাইন বাজারে কেনাবেচা জনপ্রিয়তা লাভ করছে। কাজেই ডাকঘর পিছিয়ে থাকলে চলবে না। ডাকবিভাগকে এ ব্যাপারে আরও দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ ডাক বিভাগের জন্য এটাও একটা বড় ব্যবসা হবে।

বৃহস্পতিবার (২৭ মে) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নবনির্মিত ডাক ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ডাক অধিদফতরের নবনির্মিত সদরদফতর ‘ডাক ভবন’ উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সমগ্র বাংলাদেশে প্রায় ৫ হাজার ২২৭টির মত ডিজিটাল সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি জায়গায় ডিজিটাল সেন্টার গড়ে তুলি। সেই সঙ্গে ডাকঘরগুলি যেন আধুনিক করা যায় সেই উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলাম।

অত্যাধুনিক ১৪টি মেইল প্রসেসিং এবং লজিস্টিক সার্ভিস সেন্টার নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা প্রথমে জেলা এবং বিভাগীয় শহরে করে দিচ্ছি। ডাক বিভাগকে বলব আপনাদের লক্ষ্য থাকবে একেবারে উপজেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত অর্থাৎ ডাকঘর যেখানে যেখানে আছে সেখানে যেন এ ধরনের ব্যবস্থা থাকে।

তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে ৩৮টি মডেল ডাকঘর নির্মাণকাজের হাতে নিয়েছি। আমি চাইব সারা বাংলাদেশে এটা করে দিতে। তাহলে মানুষ বিশেষ করে ঘরে বসে অনেকে কাজ করে পয়সা উপার্জন করতে পারবে। মানুষের কর্মসংস্থান যেমন হবে মানুষ সেবাটাও পাবে। সেই ব্যবস্থাটা আমাদের করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা এমনভাবে সবকিছু ডিজিটালে রূপান্তর করছি যেখানে আমাদের সামাজিক উদ্যোক্তা এবং প্রতিবন্ধী নারী-পুরুষদেরও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত নতুনভাবে কাজের সুযোগ হচ্ছে এবং মানুষ অনেক ধরনের সেবা সেখান থেকে নিতে পারছে। ডিজিটাল সেন্টার থেকে যেমন সেবা নিচ্ছে তেমনি ডাকঘর ডিজিটাল সেন্টার থেকেও তারা সেবা নিতে পারে। ডাকের সিস্টেম শুধু ডিজিটালাইজড করা না, এটা যেন আরও মানুষের সেবা নিতে পারে সেই ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমরা ১১৮টি মেইল গাড়ি সংযোগ করেছি। গাড়ি চালানোর জন্য নারী-পুরুষদের ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পচনশীল পণ্য পরিবহনের জন্য ইতোমধ্যেই কুলিং সিস্টেম থাকা গাড়ি কিনে ডাকের মাধ্যমে মানুষ যেন তাদের জিনিসগুলি পায় সেই ব্যবস্থাটাও নিচ্ছি। আর এখানে শুধু গাড়ি কিনলে হবে না। এখানে চেম্বার দরকার। যেজন্য ডাকঘরগুলিকে এই ধরনের কুলিং সিস্টেমযুক্ত চেম্বার যেন তৈরি হয় তার ব্যবস্থা করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের পর আপনারা জানেন যে, এখন বেশিরভাগই অনলাইন সেবা চলছে। পচনশীল জিনিস অর্থ্যাৎ ফলমূল-তরকারি থেকে শুরু করে বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য যেন ডাকের মাধ্যমে পাঠানো যায়। এখন আমি রান্না করে আরেক জায়গায় খাবার পাঠাব, সেটাও যেন পাঠাতে পারি সেই জন্য কুলিং সিস্টেমটা খুব দরকা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে আমরা ৮টি এইচটি মডেল ডাকঘর নির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছি। কিন্তু আমি চাইব যে সারাবাংলাদেশে এটা করে দিতে। তাহলে ঘরে বসে অনেকেই কাজ করে পয়সা উপার্জন করতে পারবেন। মানুষ সেবাটাও পাবে। সেই ব্যবস্থাটা আমাদের করতে হবে। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমরা চুক্তি করছি। ইউনিভার্সেল পোস্টাল ইউনিয়নের রূপরেখার আওতায় দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হচ্ছে।

ডাক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মকারীদের আবাসন অসুবিধা দূর করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

দৃষ্টিনন্দন ডাক ভবন সর্ম্পকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখানে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা রেখেই উন্নত মানের ভবনটা হয়েছে। যেন গ্রাকক সেবাটা বৃদ্ধি পায় আর আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার হয় সেই ব্যবস্থাটা নিয়েছি। এখন লেটার বক্স সবাই ভুলে যাচ্ছে। এখন তো সবাই হয় এসএমএস করে, না হয় ই-মেইল পাঠায়, ম্যাসেজ পাঠায়, কাজেই চিঠি লেখা তো অনেকটা নাই। কাজেই এটা যেন কেউ ভুলে না যায়; এই বিল্ডিংটা দেখলে মনে হবে, না একটা লেটার বক্স আছে।

সারাবাংলা/এনআর/এসএসএ

ডাক বিভাগ প্রধানমন্ত্রী


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর