হঠাৎই স্থগিত বেসিসের নির্বাচন
২৭ মার্চ ২০১৮ ১৫:১০
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরেমশন সার্ভিসেস (বেসিস)-এর নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে।
পরিচালনা পর্ষদের ২০১৮-২০ মেয়াদের নির্বাচন স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাচন স্থগিতের বিষয়ে একটি চিঠি বেসিস নেতাদের হাতে পৌঁছেছে। তবে, কি কারণে হঠাৎই নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।
সারাবাংলাকে বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর জানান, এ বিষয়ে তারা এখন নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলবেন। পরে বিকেল ৫টায় বেসিস বোর্ড সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
বেসিস নির্বাচন নিয়ে গত কয়েকদিন থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা হচ্ছিল।
নির্বাচন নিয়ে চলছিল ইতিবাচক নেতিবাচক আলাপচারিতা, কথা চালাচালি, তর্ক-বিতর্ক, আলোচনা-সমালোচনা। স্যোশাল মিডিয়া এই কথা চালাচালির ক্যানভাস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। কোনও কোনও বিষয় মূলধারার সংবাদমাধ্যমেও খবর হয়ে আসছে।
তথ্য প্রযুক্তি খাতে দেশের প্রধানতম ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই সংগঠনের নির্বাচন নিয়ে এ বছর অপেক্ষাকৃত বেশি কথা-বার্তা হচ্ছে, সে কথাই বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
এবারের নির্বাচনের প্রধানতম চমক ছিল তিনটি প্যানেল দাঁড়িয়ে যাওয়া। যা অতীতে কখনোই হয়নি। এর প্রতিটি প্যানেলেই নয় জন করে প্রার্থী ছিলেন। আর বেসিসের যে দ্বি-বার্ষিক কমিটি হয় তা মোট ৯ সদস্য বিশিষ্ট। এরা প্রত্যেকেই একেকজন পরিচালক হিসাবে নির্বাচিত হবেন। তারা মিলে একজন বেসিস সভাপতি নির্বাচন করবেন।
পূর্ণ প্যানেল জয়ী হলে যে কোনও একটি জোট কিংবা দল বেসিসের নেতৃত্ব দেবেন পরবর্তী দুটি বছর। সে নিয়ে চেষ্টারও শেষ নেই। যেখানেই যারা ভোট চেয়েছেন প্যানেলের সবার জন্য কথা বলেছেন।
আরেকটি চমক হচ্ছে- প্যানেলের বাইরেও ছিলেন একাধিক হেভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থী। তারাও এই ভোটযুদ্ধে জয়ী হতেই মাঠে নেমেছিলেন।
তবে এবারের নির্বাচনে আরও একটি চমক হয়ে এসেছে একটি ক্যাম্পেইন। যে ঘটনাও বেসিসের ইতিহাসে নতুন। ভোট ফর রাইট ক্যান্ডিডেট নামের এই ক্যাম্পেইন আলাদা করে কোনও প্রার্থীর কথা বলেনি। কোনও নামও তারা দেয়নি। তারা স্রেফ জোর দিয়েছে সঠিক প্রার্থী বেছে নেওয়ার ওপর।
সারাবাংলা/ইএইচটি/জেএএম