চীনের ভ্যাকসিনে অগ্রাধিকার শিক্ষার্থীদের: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
৩১ মে ২০২১ ১৫:০৫
ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চীন থেকে যে দেড় কোটি ভ্যাকসিন আসছে তা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সোমবার (৩১ মে) দুপুরে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
জাহিদ মালেক বলেন, ৫০ লাখ করে তিন দফায় চীনের দেড় কোটি ভ্যাকসিন দেশে আসবে। ফাইজারের ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেও শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। মেডিকেল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এটা আগে নিবেন। সে অনুযায়ী শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কয়েক লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের ভ্যাকসিনেশন কঠিন কোনো বিষয় না। ভ্যাকসিন নিয়ম মাফিক সিরিয়ালওয়াইজ দেওয়া হবে। যারা নিবন্ধন করেছে তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। সরকারি-বেসরকারি সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা রাশিয়ার ভ্যাকসিনও দ্রুত পেয়ে যাব। চুক্তির প্রক্রিয়া চলমান। নন ডিসক্লোজার এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর হয়েছে। পূর্ণ চুক্তিও হয়ে যাবে।
ভারতের কাছ থেকে পাওনা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন নিয়েও আলোচনা হচ্ছে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
নিবন্ধন পুনরায় চালুর বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিনের প্রাপ্যতা নিশ্চিত হলেই আবার নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হবে। ফাইজারের ভ্যাকসিন নিবন্ধনকারীদের মধ্য থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, পাঁচ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দিলে দেশ সুরক্ষিত হয়ে যাবে, এটি আমি মনে করি। কারণ, যদি পাঁচ কোটি লোককে আমরা ভ্যাকসিন দিতে পারি, তাহলে আমাদের পপুলেশনের বিরাট ভালনারেবল গ্রুপ যেটা আছে, সেটা কাভার হয়ে যায়। এজন্য ১০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন লাগবে। সেগুলো আনার চেষ্টা করছে সরকার। এটা হলে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসবে অনেকটা।
সীমান্তের জেলাগুলোতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ‘সীমান্তের জেলাগুলোতে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাচ্ছে, যা উদ্বেগজনক। এই জেলাগুলোতে করোনা ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব লকডাউন দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কেবিনেট ডিভিশন এটা নিয়ে কাজ করছে। তবে সেসব জেলায় এখন আমের ব্যবসা চলছে। তাই পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে কখন দেওয়া হবে।’
সারাবাংলা/এসবি/এএম