অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে চা রফতানি করা সম্ভব: বাণিজ্যমন্ত্রী
২ জুন ২০২১ ২৩:৪২
ঢাকা: ১৯৭০ সালে এ অঞ্চলে যেখানে চায়ের উৎপাদন ছিল মাত্র ৩১ দশমিক ৩৮ মিলিয়ন কেজি, সেখানে ২০১৯ সালে উৎপাদন বেড়ে ৯৬ দশমিক ৭ মিলিয়ন কেজিতে পৌঁছেছে। গেল বছর বিশ্বের ১৯টি দেশে ২ দশমিক ১৯ মিলিয়ন কেজি চা রফতানি করে প্রায় ৩৫ কোটি টাকা আয় করেছে বাংলাদেশ। এই উদ্যোগের ধারাবাহিকতা রাখতে চায় সরকার।
বুধবার (২ জুন) চা দিবসকে কেন্দ্র করে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, ‘একসময় চা বাংলাদেশের অন্যতম রফতানি পণ্য ছিল। দেশে চায়ের উৎপাদন অনেক বেড়েছে, একই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ চাহিদাও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে চা তেমন রফতানি করা সম্ভব হচ্ছে না। একসময় মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা হলেও আজ গ্রামের মানুষও চা পান করতে অভ্যস্ত। ফলে চায়ের ব্যবহার বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ১৯৯৬ সাল থেকে দেশের উত্তরাঞ্চল পঞ্চগড়ে সমতল ভূমিতে চা উৎপাদন শুরু হয়। দিন দিন সেখানে চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকার সেখানে চা উৎপাদনে উৎসাহিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সবধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে। চা শ্রমিকদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। চা বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় রফতানি পণ্য। আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের চায়ের বিপুল চাহিদা রয়েছে। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে চা রফতানি করা সম্ভব।’
চা’ কে গুরুত্ব দিয়ে গত বছরের ২০ জুলাই মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রতি বছরের ৪ জুন ‘ চা দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জন্মশত বার্ষিকীতে চা শিল্পে তার অসামান্য অবদান ও চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর যোগদানের তারিখ ৪ জুনকে স্মরণীয় করে রাখতে এবং দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে চা শিল্পের ভূমিক কে বিবেচনায় নিয়ে ৪ জুন ‘জাতীয় চা দিবস’ উদযাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, চা শিল্পের প্রসার’ এ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে এবারই প্রথম ‘চা দিবস’ পালন করা হবে। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ৪ জুন সকাল ১০টায় জাতীয় চা দিবসের উদ্বোধন করা হবে এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে দিনব্যাপী চা প্রদর্শন করা হবে।
এ ছাড়াও বঙ্গবন্ধু প্যাভেলিয়ন এবং শ্রীমঙ্গলস্থটি মিউজিয়ামে রক্ষিত চা শিল্পের দুর্লভ জিনিসপত্র প্রদর্শন করা হবে। বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. জহিরুল ইসলাম অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন।
সারাবাংলা/জেআর/একে