‘করোনায় বিপর্যস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বাজেটে দিকনির্দেশনা নেই’
৩ জুন ২০২১ ২২:১৯
ঢাকা: প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে যে পরিমাণ টাকা বরাদ্দ দেওয়া উচিত ছিল, তা দেওয়া হয়নি মন্তব্য করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সংস্থাটি বলেছে, প্রস্তাবিত বাজেটে চলমান করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে পরিষ্কার যেসব দিকনির্দেশনা থাকা উচিত ছিল, নেই সেগুলোরও উপস্থিতি।
বৃহস্পতিবার (৩ জুন) জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপনের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সংস্থাটি এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
বাজেট উত্থাপনের পর সিপিডি’র ফেসবুক পেজে সম্প্রচারিত সংবাদ সম্মেলনে বাজেটের বিভিন্ন দুর্বল দিক তুলে ধরেন সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। এসময় সিপিডির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান ও গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম উপস্থিত ছিলেন।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে করোনা মহামারি সংকট মোকোবিলায় জরুরি প্রয়োজনে ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। কিন্তু সিপিডি মনে করে, এই টাকা যথেষ্ট নয়। কেননা যারা ভ্যাকসিন নেওয়ার যোগ্য, তাদের সবাইকে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য খাতে যে টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, সেই টাকা খরচ করতে হবে। সেজন্য স্বাস্থ্য খাতকে ঢেলে সাজাতে হবে। আমাদের এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন করোনা মোকাবিলা। রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত আইসিইউ ও অক্সিজেনের ব্যবস্থা করা। চিকিৎসক ও নার্সের ব্যবস্থা করা।
ফাহমিদা খাতুন বলেন, বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে বলা হচ্ছে। কিন্তু এখানে সরকারি কর্মকর্তাদের পেনশন যোগ করা হয়েছে। এ কারণে সামাজিক নিরাপত্তা খাতের বরাদ্দ বড় করে দেখানো হচ্ছে। এই খাতে বরাদ্দ আরও বাড়াতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, প্রস্তাবিত বাজেটে অনুন্নয়ন ব্যয় বাড়লেও উন্নয়ন ব্যয় আশানুরূপ বাড়েনি। তাই অনুন্নয়ন ব্যয় কমিয়ে উন্নয়ন ব্যয় বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছে সিপিডি। একইসঙ্গে সংস্থাটি প্রস্তাবিত বাজেটে বিনিয়োগের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু নেই বলেও মন্তব্য করে।
সারাবাংলা/জিএস/টিআর