১৬ জুন পর্যন্ত বিধিনিষেধ, পর্যটনকেন্দ্র-সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ
৬ জুন ২০২১ ১৬:৩৮
ঢাকা: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার আরোপিত চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও ১০ দিন বাড়ানো হয়েছে। এ সংক্রান্ত জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আগামী ১৬ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ চলমান থাকবে। এই বিধিনিষেধের আওতায় দেশের পর্যটনকেন্দ্রসহ বিনোদনকেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকবে। একইসঙ্গে জনসমাগম হয়— এমন যেকোনো ধরনের সামাজিক-রাজনৈতিক অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে।
রোববার (৬ জুন) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। উপসচিব মো. রেজাউল ইসলাম এই প্রজ্ঞাপনে সই করেছেন।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছ, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় আগের বিধিনিষেধের ধারাবাহিকতায় আরও ১০ দিন, অর্থাৎ আগামী ১৬ জুন পর্যন্ত এই বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
নতুন প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দেশের সব পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র এই বিধিনিষেধ আরোপিত সময়ে বন্ধ থাকবে। জনসমাগম হয়— এ ধরনের সামাজিক (বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান, জন্মদিন, পিকনিট পার্টি) রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান বন্ধ রাখতে হবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, খাবারের দোকানগুলো সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খাবার সরবরাহ করতে পারবে। আগের মতোই দোকানের অর্ধেক আসন খালি রেখে ক্রেতাদের বসাতে হবে। এছাড়া আগের মতোই অর্ধেক যাত্রী নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে এবং যাত্রী ও বাস সংশ্লিষ্টদের বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক ব্যবহার করবে হবে।
দেশের যেসব জেলা কোভিড-১৯ সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে, সেসব জেলায় জেলা প্রশাসকরা বিশেষজ্ঞ কারিগরি কমিটির সঙ্গে বসে সংক্রমণ রোধে নিজ নিজ এলাকায় বিধিনিষেধ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবেন বলেও উল্লেখ করা হছে প্রজ্ঞাপনে।
এর আগে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে গত ৫ এপ্রিল বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। ১৪ এপ্রিল থেকে জারি করা হয় কঠোর বিধিনিষেধ। প্রথম দিকে যানবাহন চলাচল, অফিস আদালতের কার্যক্রমে কঠোরতা থাকলেও পরে ধাপে ধাপে তা শিথিল করা হয়। জীবন ও জীবিকার কথা চিন্তা করে খুলে দেওয়া হয় শপিংমল, দোকানপাট, গণপরিবহন। সবশেষ গত ৩০ মে এই বিধিনিষেধের মেয়াদ সাত দিন বাড়িয়ে আজ ৬ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বহাল রাখা হয়েছিল। আজ আরও ১০ দিন বাড়ানো হলো এই বিধিনিষেধ।
সারাবাংলা/জেআর/এসএসএ