সেই মিনুকে মুক্তির নির্দেশ, তিন আইনজীবীকে হাইকোর্টে তলব
৭ জুন ২০২১ ১৬:৫৫
ঢাকা: চট্টগ্রামে হত্যা মামলার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কুলসুম আক্তারের হয়ে জেল খাটা নিরপরাধ মিনুকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ মামলার প্রকৃত আসামি কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে এ ঘটনায় স্বশরীরে আদালতে হাজির হয়ে চট্টগ্রামের নারী ও শিশু আদালত-২ এর পাবলিক প্রসিকিউটর এমএ নাসের, আইনজীবী বিবেকানন্দ ও নুরুল আনোয়ারকে লিখিত ব্যাখা দিতে বলেছেন আদালত। তাদেরকে আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যাখা দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার (৭ জুন) এ বিষয়ে শুনানি শেষে বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে মিনুর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মাদ শিশির মনির। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন।
এর আগে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কুলসুম আক্তারের হয়ে জেল খাটা মিনুর বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী শিশির মনির।
গত ২৪ মার্চ মিনুর বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর চট্টগ্রাম আদালতের নথি পাঠানো হয়।
চলতি বছরের ৩১ মার্চ এ ঘটনাটি উচ্চ আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
এরপর বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আইনজীবীকে হলফনামা দাখিল করতে নির্দেশ দেন। এর মধ্যে ওই বেঞ্চের এখতিয়ার পরিবর্তন হওয়ায় বিষয়টি বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে আসে।
একটি হত্যা মামলায় আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেন কুলসুম আক্তার কুলসুমীকে। আর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জেল খাটছেন মিনু। এ বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. শফিকুল ইসলাম খান।
গত ২২ মার্চ সকালে অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালতে পিডব্লিউ মূলে মিনুকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে জবানবন্দি শুনে এ মামলার আপিল উচ্চ আদালতে বিচারাধীন থাকায় মিনুর নথি ২৩ মার্চ হাইকোর্টে পাঠানোর আদেশ দেন।
কুলসুম আক্তার কুলসুমীর বদলে মিনু দুই বছর ৯ মাস ধরে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/একে