করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতির মধ্যেও খুব শিগগিরই স্নাতক বিভিন্ন বর্ষের পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) কর্তৃপক্ষ। তবে শিক্ষার্থীদের সশরীরে উপস্থিতিতে নয়, এই বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষাগুলো নেবে অনলাইনে। এ ক্ষেত্রে প্রান্তিক শিক্ষার্থীদের যারা পরীক্ষার সময় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও অনলাইন সেবার আওতাভুক্ত নেই, তাদের নিজ জেলা বা উপজেলা শহরে ইউজিসি’র মাধ্যমে সেই সুবিধা নিশ্চিত করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (৭ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
রেজিস্ট্রার বলেন, ‘যত দ্রুতসম্ভব পরীক্ষা নেওয়া হবে। পরীক্ষা সংক্রান্ত সব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এরই মধ্যে একটি কমিটি করা হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র পরামর্শক ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসাইন সারাবাংলাকে বলেন, ‘প্রথমে স্নাতক তৃতীয় বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা অনলাইনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এটি সঠিকভাবে সম্পন্ন হলে আমরা পরবর্তী সময়ে অন্যান্য বর্ষের পরীক্ষাগুলো একইসঙ্গে অনলাইনে নেওয়া শুরু করব।’
ড. ফরহাদ জানান, শিগগিরই পরিবর্তিত পাঠ্যক্রম দিয়ে সে অনুযায়ী পরীক্ষা নেওয়া হবে। তবে যেসব শিক্ষার্থী নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও অনলাইন সেবার আওতায় থাকবে না, তাদের জন্য ইউজিসির মাধ্যমে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করে জেলায় বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করে উপজেলা শহরে সেই সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।
অনলাইনে পরীক্ষা পদ্ধতি বিষয়ে ড. ফরহাদ বলেন, তাত্ত্বিক পরীক্ষাগুলো অনলাইন মাধ্যমে নেওয়া হবে। তবে ব্যাবহারিক পরীক্ষার বিষয়ে অনলাইন ভিজ্যুয়াল এক্সাম, প্রেজেন্টেশনসহ সব বিকল্প পদ্ধতিগুলো চিন্তায় রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শেকৃবি প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘অনলাইন পরীক্ষার যথাযথ মূল্যায়নের লক্ষ্যে একেকজন শিক্ষকের মাধ্যমে ২৫ জন শিক্ষার্থীর পরীক্ষা পরিদর্শনের পরিকল্পনা রয়েছে। পরীক্ষা নেওয়ার জন্য সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টসহ সব প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।’
সেশন জট কমিয়ে শিক্ষার্থীদের কাঙ্ক্ষিত সাফল্য নিশ্চিত ও মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনায় সবচেয়ে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও মনে করছেন শেকৃবি প্রক্টর।