Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সংকেত না মেনে এগিয়ে গেল গাড়ি, পুলিশ সদস্য নিহত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১১ জুন ২০২১ ১২:২০

এএসআই কাজী মো. সালাহউদ্দীন

চট্টগ্রাম ব্যুরো: নগরীতে মাইক্রোবাস চাপায় পুলিশের সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) কাজী মো. সালাহউদ্দীন নিহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, সড়কে থামার সংকেত দেওয়ার পর মাইক্রোবাসটি সেটা না মেনে তাকে চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। তবে পরে মাইক্রোবাসটি আটক করা হয়।

শুক্রবার (১১ জুন) ভোর ৫ টার দিকে নগরীর চান্দগাঁও থানার কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এ সময় পুলিশের আরেক সদস্য মো. মাসুম গুরুতর আহত হন।

নিহত কাজী মো. সালাউদ্দীন চান্দগাঁও থানায় কর্মরত ছিলেন। তিনি লক্ষীপুর সদরের হাজীপাড়া থানার দক্ষিণ জয়পুর গ্রামের কাজী নাদের জামানের ছেলে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি ওই থানায় যোগদান করেছিলেন তিনি।

চান্দগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজেশ বড়ুয়া সারাবাংলাকে বলেন, নিহত এএসআই কাজী মো. সালাহউদ্দীন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন— একটি কালো হাইস মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রো-চ-১৫-৩৬৬৫) পার্বত্য এলাকা হইতে চোলাইমদ নিয়ে চট্টগ্রাম শহরে প্রবেশ করছে। এরপর এএসআই সালাহউদ্দীন তার দল নিয়ে শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে থানার মেহেরাজখানঘাটা পেট্রোল পাম্পের সামনে রাস্তার ওপর মাইক্রোবাসটিকে দেখে থামার সিগন্যাল দেয়।

তিনি আরও বলেন, প্রথমে চালক থামানোর মত করে গাড়ির গতি কমালে সালাউদ্দিন ও মো. মাসুম মাইক্রোবাসটির সামনে যায়। এ সময় চালক তাদের হত্যার উদ্দেশ্যে মাইক্রোবাসটির গতি পুনরায় বাড়িয়ে জোরে ধাক্কা দিলে ছিটকে পড়েন সালাহউদ্দীন। এতে মাথায়, কোমড়ে ও শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুতর আঘাত পান তিনি। তার সঙ্গে থাকা মাসুমও ছিটকে রাস্তায় পড়েন। এতে মাসুদও ঘাড়, বুকে ও হাতে আঘাত পান। এ সময় ওই চালক দ্রুত গতিতে মাইক্রোবাসটির চালিয়ে ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে যান।

খবর পেয়ে অফিসার এসআই রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম মাইক্রোবাসটির পিছু নেয়। এতে ঘটনাস্থল হতে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে বোর্ড স্কুল নামক জায়গায় মাইক্রোবাসটিকে রেখে চালক ও তার সঙ্গীরা পালিয়ে যায়। এ সময় বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দ্রুত এএসআই সালাহউদ্দীন এবং মাসুমকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) নিয়ে যান এসআই রফিকুল। এ সময় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক এএসআই সালাহউদ্দীনকে মৃত ঘোষণা করেন। আর মাসুমকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান।

পরে পুলিশ তাৎক্ষনিকভাবে মাইক্রোবাসটি তল্লাশি করে। এ সময় গাড়িটির যাত্রীর সিটে ৩৫টি প্লাস্টিকের বস্তা উদ্ধার করে। যার প্রতি বস্তায় ২০টি করে মোট ৭০০টি স্যালাইনের প্যাকেট ভর্তি চোলাইমদ ছিল। প্রতিটি স্যালাইনের প্যাকেটে এক লিটার করে মোট ৭০০ লিটার চোলাইদ এবং ৩টি প্লাস্টিকের জারে প্রতিটিতে ১০ লিটার করে ৩০ লিটার চোলাইমদ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা ৭৩০ লিটার দেশীয় তৈরি চোলাইমদ জব্দ করা হয়। আর মাইক্রোবাসটি বর্তমানে থানা হেফাজতে রয়েছে বলে জানান পুলিশ পরিদর্শক রাজেশ বড়ুয়া।

তিনি আরও জানান, ওই মাইক্রোবাসের মালিক, ঘটনায় জড়িত চালকসহ অন্যান্য আসামিদের শনাক্ত করে গ্রেফতারে বিশেষ অভিযান অব্যাহত আছে। আর নিহত এএসআই সালাউদ্দীনের মৃতদেহ ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

সারাবাংলা/আরডি/এনএস

টপ নিউজ পুলিশের এএসআই নিহত মাইক্রোবাস চাপায়


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

বাংলাদেশ-ভারত টেস্টে হামলার হুমকি!
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:৩৫

সম্পর্কিত খবর