করোনা মোকাবিলা: বাংলাদেশের প্রশংসায় ইউএনডিপি-আইওএম
১১ জুন ২০২১ ১৩:০৩
ঢাকা: করোনা মহামারি সফলভাবে মোকাবিলা করায় বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেছে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)।
শুক্রবার (১১ জুন) ইউএনডিপি’র আয়োজনে ‘ইনক্লুডিং মাইগ্রেন্টস অ্যান্ড কমিউনিকেশনস ইন দ্য সোশিও-ইকোনোমিক রিকভারি: এক্সপেরিয়েন্স ফ্রম দ্য আইওএম-ইউএনডিপি পার্টনারশিপ অন কোভিড’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে এ প্রসঙ্গে আলোচনা হয়।
বাংলাদেশের পক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। এসময় তিনি বলেন, সরকার নগদ টাকা ও খাবার সরবরাহের মাধ্যমে সাত কোটি মানুষকে মানবিক সহায়তা প্রদান করেছে । মানুষের জীবন-জীবিকার সহায়তার জন্য ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের প্রণোদনা দিচ্ছে। সরকার আট লক্ষ ৮৪ হাজার দুর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মাণ করে বাস্তুচ্যুত এবং গৃহহীন মানুষের পুনর্বাসনের পরিকল্পনা নিয়েছে। যা বাস্তবায়নের পথে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকল্পে সরকারের গৃহীত নানান উদ্যোগে বাংলাদেশ বিগত দশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে গেছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি প্রায় সাড়ে সাত শতাংশে অব্যাহত রাখতে পেরেছে। বৈশ্বিক মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশ ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
এছাড়াও, বাংলাদেশ সরকার ২০২০ সালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতি বিষয়ক জাতীয় কৌশলপত্র প্রণয়ন করেছে। ইউএনডিপি’র প্রতিনিধি ডেভিড কহৌদৌর সরকারের ওই কৌশলপত্রের ভূয়সী প্রশংসা করেন ।
এদিকে, আইওএম’র মহাপরিচালক অ্যান্তোনিও ভিটোরিনো কুড়িগ্রাম জেলায় কোভিড-১৯ এর সময়ে বাস্তুচ্যুত মানুষের গন্তব্য নির্ধারণে যে পদ্ধতির পাইলটিং করা হয়েছে তার প্রশংসা করেন। তিনি এ পদ্ধতি অন্যান্য স্থানেও বাস্তবায়ন করার বিষয়ে তার মতামত ব্যক্ত করেন।
আইওএম-ইউএনডিপি’র যৌথ উদ্যোগে পাইলটকৃত এ বাস্তুচ্যুতি ট্র্যাকিং পদ্ধতি বাস্তুচ্যুত মানুষের গতিবিধি এবং তাদের প্রয়োজন নিরূপণ করতে সহায়ক হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
অন্যদিকে, ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে ইউএনডিপি প্রধান এখিম স্টেইনার এবং আইওএম মহাপরিচালক অ্যান্তোনিও ভিটোরিনো ছাড়াও কিরগিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট রোজা অটুনবাইভা এবং ইউএনডিপির লেসথো আবাসিক প্রতিনিধি বেট্টি ওয়াবুনহোয়া অংশগ্রহণ করেন।
সারাবাংলা/জেআর/একেএম