পুলিশের বিরুদ্ধে ধর্ষণের আসামিকে সহযোগিতার অভিযোগ
১৫ জুন ২০২১ ২০:২৪
ঠাকুরগাঁও: ধর্ষণ মামলার আসামিকে না ধরে পুলিশ উল্টো সহযোগিতা করছে বলে অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী এবং তার পরিবার।
মঙ্গলবার (১৫ জুন) দুপুরে জেলা শহরের একটি রেস্তোরায় সাংবাদিকদের কাছে এই সব অভিযোগ তুলে ধরেন নির্যাতিতার পরিবার।
ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, তিনি দরিদ্র অসহায় পরিবারের সন্তান। লেখাপড়া শেষে নার্সিংয়ের চাকরি নেন পঞ্চগড়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। ওই প্রতিষ্ঠানের মালিক সাইফুল ইসলাম তাকে জোরপূর্বক কয়েক দফা ধর্ষণ করে। পরে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়।
সর্বশেষ, ৩১ মে সাইফুল ও তার ভায়রা আলমগীর বিয়ের কথা বলে ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের টিকাপাড়ার আলমগীরের বাসায় তাকে ডেকে নেয়। সেখানে তাকে ধর্ষণ এবং পাশবিক নির্যাতন চালায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে অজ্ঞান অবস্থায় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে — বলেন ওই নারী।
তিনি আরও বলেন, ওই ঘটনায় ঠাকুরগাঁও সদর থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে এস আই আব্দুস সামাদ শুরুতে ভয়ভীতি দেখিয়ে মামলা না করার কথা বলেন। এজাহার লেখার কথা বলে চারটি সাদা কাগজে সইও নেন।
পরবর্তীতে মামলা নেওয়া হলেও আসামিদের বাঁচাতে সেখানে ধর্ষণের কথা উল্লেখ করা হয়নি। পরে জানা যায়, এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই সামাদ আসামিদের নিকট আত্মীয়। তাই তিনি আসামিদের গ্রেফতার না করে উল্টো সহযোগিতা করেছেন।
এমন অবস্থায়, ৭ জুন আদালতের দারস্থ হন ওই ভুক্তভোগী নারী। আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলেও আসামিদের গ্রেফতার করছে না পুলিশ, অভিযোগ ওই নারীর।
এদিকে, সাংবাদিক সম্মেলনে আসামিদের আইনের আওতায় এনে ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করা হয়েছে। পাশাপাশি, ন্যায় বিচারের স্বার্থে তদন্তের দায়িত্ব অন্য কাউকে দেওয়ার জন্য পুলিশ সুপারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
সারাবাংলা/একেএম