সিরাজগঞ্জে ৫১০ কোটির প্রকল্পে শুরুতেই ব্যয় বাড়ছে ১২৮ কোটি টাকা
১৬ জুন ২০২১ ১১:২৭
প্রস্তাবিত সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চল রক্ষা প্রকল্পের ব্যয় বাড়ছে ১২৮ কোটি ২২ লাখ টাকা। সেই সঙ্গে মেয়াদও বাড়ছে আরও এক বছর। পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো সংশোধনী প্রস্তাবে মূল ব্যয় ৫০৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬৩৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ‘সিরাজগঞ্জ জেলায় যমুনা নদী হতে পুনরুদ্ধারকৃত ভূমির উন্নয়ন এবং প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চল রক্ষা’ শীর্ষক প্রকল্পটির প্রথম সংশোধনী প্রস্তাবটি পাঠানো হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। অন্যদিকে মূল অনুমোদিত প্রকল্পের মেয়াদ ছিল ২০১৮ সালের জানুয়ারি হতে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত। করোনার ভাইরাস মহামারির কারণে মেয়াদ এক বছর বাড়িয়ে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত বর্ধিত করে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)। এখন নতুন করে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা সারাবাংলাকে জানান, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে সংশোধনী প্রস্তাব পাওয়ার পর গত বছরের ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা। ওই সভায় প্রায় ১৩টি সুপারিশ দেওয়া হয় পরিকল্পনা কমিশনের পক্ষ হতে। প্রস্তাবটি সংশোধন করায় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আগামী বৈঠকে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানিসম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য (সচিব) রমেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে যমুনা নদী হতে পুনরুদ্ধার করা ভূমির উন্নয়ন এবং প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চল রক্ষাসহ প্রকল্প এলাকার সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা যমুনা নদীর ভাঙন হতে রক্ষা করা সম্ভব হবে।
তিনি জানান, প্রকল্পটির মোট ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে ১২৮ কোটি ২২ লাখ টাকা, যা অনুমোদিত প্রকল্প ব্যয়ের ২৫ দশমিক ১৪ শতাংশ। সে মোতাবেক প্রকল্পটির প্রথম সংশোধনের অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ একনেক। এসব দিক বিবেচনা করে একনেকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রকল্প সার-সংক্ষেপে বলা হয়েছে, প্রকল্প এলাকাটি সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে যমুনা নদীর ডানতীর বরাবর অবস্থিত। এ এলাকায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বঙ্গবন্ধু সেতুসহ সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্ট অবস্থিত। এটি প্রধান কৃষিপণ্য উৎপাদন ও তাঁত সমৃদ্ধ এলাকা, যা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
এতে আরও বলা হয়, বর্তমানে প্রকল্পের আওতায় নদীর তীর সংরক্ষণ কাজের পরিমাণ হ্রাস, নদী ড্রেজিং এর মাধ্যমে পুনরুদ্ধার করা জমির পরিমাণ বৃদ্ধি, মাটির বাঁধ-নির্মাণ কাজ কমে যাওয়া, রেট সিডিউলের পরিবর্তন এবং আউটলেট কাম ব্রিজের পরিবর্তে আর্চ ব্রিজ নির্মাণ অন্তর্ভূক্তি ও প্রকল্পের মেয়াদ বেড়ে যাওয়ায় প্রথম সংশোধনীর প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় ৩ কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণ করা হবে। এছাড়া ১৮২ লাখ ঘনমিটার নদী ড্রেজিং দিয়ে পুনরুদ্ধারকৃত জমি ভরাট করা। ৩ কিলোমিটার মাটির বাঁধ নির্মাণ এবং ৮৪ মিটার আর্চ ব্রিজ নির্মাণসহ আনুষাঙ্গিক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
সারাবাংলা/জেজে/এএম