‘ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট নোয়াখালী ও মানিকগঞ্জ পর্যন্ত চলে এসেছে’
১৭ জুন ২০২১ ০৯:০৩
ঢাকা: ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বলে অধিক পরিচিত ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট দেশের সীমান্ত এলাকাসহ নোয়াখালী ও মানিকগঞ্জ পর্যন্ত চলে এসেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। এমন অবস্থায় সাবধান না হলে বিপদ হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। এছাড়াও আম ব্যবসায়ীদের জন্য সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
বুধবার (১৬ জুন) করোনা পরিস্থিতি ও করোনা প্রতিরোধী ভ্যাকসিন নিয়ে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
জাহিদ মালেক বলেন, ডেল্টা ভেরিয়েন্ট সীমান্ত এলাকাসহ নোয়াখালী এবং মানিকগঞ্জ পর্যন্ত চলে আসছে। অর্থাৎ ঢাকার কাছাকাছি চলে আসছে। এখন সাবধান না থাকলে বিপদ হবে। করোনা সংক্রমণ বেশি। এসব এলাকার আম ব্যবসায়ীদের জন্য সংক্রমণ বাড়তে পারে। যেখানে বাড়ছে সেখানেই লকডাউন দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘করোনা ঢেউ ঢাকার কাছাকাছি চলে আসছে। এ জন্য আমাদের সকলকে সজাগ হতে হবে। স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চলতে হবে। করোনা যদি নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারি, তাহলে আমাদের অর্থনীতিও ভালোভাবে সচল থাকবে না।’
যেখানে সংক্রমণ বেশি সেখানে বিনামূল্যে টেস্ট করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তবে নমুনা টেস্টের সংখ্যা বাড়ছে না বলে আক্ষেপ করেন তিনি।
যেখানে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, সেখানে লকডাউন দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্থানীয় প্রশাসন আছে, তারা লকডাউন দিচ্ছে এবং লকডাউনকে কার্যকর করার চেষ্টা করছে।’
সীমান্ত বন্ধ রাখার পাশাপাশি সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে বেশ কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ফরমাল চ্যানেল নয়, সেদিক দিয়েও লোক যাওয়া-আসা করেন। ইনফরমাল চ্যানেল দিয়ে লোক যাওয়া-আসা করে, সেটা থামানো কঠিন। আমাদের পুলিশ-বিজিবি-প্রশাসন সকলেই চেষ্টা করছে। যতখানি সম্ভব এ বর্ডার নিয়ন্ত্রণ করা যায়।’
জাহিদ মালেক বলেন, বিশ্বের উৎপাদনশীল দেশগুলোতে ভ্যাকসিনের সুষম বণ্টন নেই। যদি উন্নত দেশের ৭৩ জন ভ্যাকসিন পায়, তাহলে অনুন্নত দেশের একজন পায়। কাজেই ভ্যাকসিনের ডিস্ট্রিবিউশনের মধ্যে সমতা নেই।
তিনি বলেন, চীনের ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য অপেক্ষায় আছি। আমাদের হাতে ১১ লাখ ভ্যাকসিন আছে। এগুলো আগামী ১৯ তারিখ থেকে ৫ লাখ লোককে দেওয়া হবে। দ্বিতীয় ডোজ হাতে রেখেই তাদের পাঁচ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ১১ লাখ ভ্যাকসিন সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীসহ বিদেশগামী যাত্রীদের, সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের দেওয়া হবে।
সারাবাংলা/এসবি/এসএসএ