Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বৃক্ষরোপনকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করতে চাই: ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৭ জুন ২০২১ ১৯:৫৮

ঢাকা: পরিবেশ উন্নয়নে বৃক্ষরোপনের সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলবে বিএনপি। বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) দুপুরে রাজধানীর বেরাইদ এলাকায় বৃক্ষরোপনের কর্মসূচির উদ্বোধনকালে দলের এই অবস্থানের কথা তুলে ধরেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘আমাদের নেতা জিয়াউর রহমান সারাদেশে বৃক্ষরোপনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। এরপর আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শাসনামলে সবর্ত্র সামাজিক বনায়নের কাজ শুরু হয়েছিল। সেজন্য আমরা আবারও নতুন করে সারাদেশে এই বৃক্ষায়নের কর্মসূচি শুরু করেছি। এটাকে আমরা সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করতে চাই।’

বিজ্ঞাপন

পরিবেশ ও জলাবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলায় বাজেটে সরকারের বরাদ্দ প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যারা একটু খবরের কাগজের দিকে খেয়াল রাখেন, পরিবেশ উন্নয়নের জন্য এই সরকার কত পারসেন্ট জিডিপির বরাদ্দ রেখেছে সেটা কী বলতে পারবেন? খুব সামান্য। অথচ আমাদের দেশনেত্রী খালেদা জিয়া পরিবেশ উন্নয়নের অনেক বেশি বরাদ্দ করেছিলেন। সমস্ত উপকুলবর্তী এলাকায় গাছ লাগানোর জন্য লাখ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছিলেন। সব জায়গায় সামাজিক বনায়নের কাজ শুরু হয়েছিল।’

বৃক্ষরোপনের কর্মসূচির আওতায় এবার সারাদেশে পাঁচ লাখ নিম গাছের চারা রোপনের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ‘আসুন এই বৃক্ষরোপনের মধ্য দিয়ে আমরা একটা নতুন যুদ্ধ শুরু করি। প্রকৃতিকে বাঁচানোর জন্য, পরিবেশকে বাঁচানোর জন্য এবং আমাদের ভবিষ্যত বংশধরকে বাঁচানোর জন্য আমরা সবাই যদি পাঁচটি করে গাছ লাগাই তাহলে আমরা অনেক বেশি এগিয়ে যেতে পারব।’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করেছে। তারা ক্ষমতায় আসার পরে বড় বড় রাস্তার দুই ধারে যে পুরনো গাছগুলো ছিল সেগুলোর একটাও নাই। ঢাকার বাইরে জেলা পরিষদের যত গাছ ছিল সব ভাগ বাটোয়ারা করে কেটে নিয়ে গেছে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আমাদের ঠাকুগাঁও শহরে ঢুকতেই একটা সেগুন বাগান ছিল। পাকিস্তান আমলে একজন ডিএফও খালের পাশ দিয়ে অনেক সেগুনের গাছ লাগিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ আসার পর সেগুলো সাফ করে ফেলেছে। ওই জায়গাটা এখন দেখলে এত খারাপ লাগে। আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে এদেশের প্রকৃতিকে ধ্বংস করছে, পরিবেশ ধবংস করেছে এবং একই সঙ্গে রাজনীতির পরিবেশকেও ধ্বংস করছে। সত্যিকার অর্থে তারা মানুষকে চরম বিপদের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ঢাকার তুরাগ নদী দখল হয়ে যাচ্ছে। কারা দখল করছে? আওয়ামী লীগের নেতারা দখল করছে। কারা সেখানে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করছে, কারা পাওয়ার প্ল্যান্ট তৈরি করছে? কারা ক্লাব তৈরি করছে? সব আওয়ামী লীগের লোকজন, এমপি।’

করোনা পরিস্থিতির তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এখন সময়টা খুব খারাপ। আমাদের দুইটা দানবের সঙ্গে লড়তে হচ্ছে। একটা হচ্ছে অদৃশ্য দানব করোনাভাইরাস। সারাদেশে এর সংক্রামণ পরিস্থিতি খুবই খারাপ। তারা (সরকার) উদাসিনতার মধ্য দিয়ে, দুর্নীতির মধ্য দিয়ে মানুষের জীবনকে বিপন্ন করে ফেলেছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই করোনা নিয়েও তারা ব্যবসা করে। টেস্ট নিয়ে ব্যবসা করে, হাসপাতালের বেড নিয়ে ব্যবসা করে, হাসপাতাল নিয়ে ব্যবসা করে, এখানে তিনশ’ ফিটের কাছে একটা হাসপাতালই তারা উধাও করে দিয়েছে। এভাবে আজ তারা (সরকার) দেশে দুর্নীতির মচ্ছব শুরু করেছে। সেই মচ্ছব মানুষের ন্যায়সঙ্গত অধিকার ধবংস করে দিচ্ছে।’

মহানগর উত্তরের সিনিয়র সহসভাপতি মুন্সি বজলুল বাসিত আনজুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এএফএম আবদুল আলীম নকির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, সহ-সম্পাদক রওনাকুল ইসলাম টিপু, যুবদল উত্তরের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর, মহানগর উত্তরের এজিএম শামসুল হক, তুহিরুল ইসলাম তুহিন, এবিএমএ আবদুর রাজ্জাক প্রমুখ।

সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম

বৃক্ষরোপন মির্জা ফখরুল ইসলাম সামাজিক আন্দোলন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর