ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ১২ বছর আগের ঋণগ্রস্ত বাংলাদেশ এখন ঋণ সহায়তার এক অভূতপূর্ব সাফল্যের দেশ। বিশ্ব আজ অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে বদলে যাওয়া বাংলাদেশের দিকে।
রোববার (২০ জুন) সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় ওবায়দুল কাদের এ সব কথা বলেন।
সামনের নির্বাচনে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হলে দলের মধ্যে সুদৃঢ় ঐক্য ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কর্মীরা কোণঠাসা হয়ে গেলে আওয়ামী লীগ কোণঠাসা হয়ে যাবে। নিজেদের অবস্থান ভারি করার জন্য পকেট কমিটি করা যাবে না এবং বিতর্কিত কাউকে দলে ঠাঁই দেওয়া যাবে না।’
এদেশে লুটপাট তন্ত্র চালু করেছিল বিএনপি অভিযোগ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে বহুদলীয় তামাশায় বাংলাদেশকে পরিণত করেছে বিএনপি।’
বিএনপির শাসনামলে দুর্নীতির কারণে তাদের কোনো নেতাকে শাস্তির আওতায় আনা হয়নি, অন্যদিকে শেখ হাসিনা দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে চলে বলেও জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘বিএনপি মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন চায় না, তারা নিজেদের ভাগ্য উন্নয়ন করতে চায়। বিএনপি এদেশের জন্য কী করেছে, যার জন্য জনগণ তাদের আন্দোলনে সাড়া দেবে?’
আওয়ামী লীগ নাকি জিয়াউর রহমানকে খলনায়ক বানাতে চায়, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নয়, প্রকৃতপক্ষে জিয়াউর রহমান নিজ কর্মের কারণেই ইতিহাসের কাঠগড়ায় খলনায়ক হিসেবে চিহ্নিত। ইতিহাস বিকৃতির জন্য জনগণ জিয়াউর রহমানকে কোনদিন ক্ষমা করবে না। ইতিহাসের ফুটনোটকে বিএনপি মহানায়ক বানানোর অপচেষ্টা করে যাচ্ছে।’
নানান প্রতিকূলতা পেরিয়ে শেখ হাসিনার বাংলাদেশ আজ এক প্রত্যয়ী এবং সম্ভাবনাময় দীপ্যমান বাংলাদেশ মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অর্থনীতির প্রতিটি সূচকে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ আজ মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। প্রবাসী আয় প্রাপ্তিতে বাংলাদেশ একধাপ এগিয়ে এখন সপ্তম স্থানে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় ৪৫ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।’
মন্ত্রী বলেন, ‘চলমান মেগা প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ হলে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা আরও বাড়বে, বাড়বে সমৃদ্ধি।’
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমদের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুল মান্নান খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুবুর রহমান ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ।