আবাদের লক্ষ্যপূরণ হচ্ছে না আউশের
২২ জুন ২০২১ ০৯:১৬
ঢাকা: চলতি আউশ মৌসুমে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হচ্ছে না। ১৩ লাখ হেক্টরের বেশি জমিতে আউশ আবাদের লক্ষ্য থাকলেও শেষ পর্যন্ত ১১ লাখ হেক্টরের বেশি জমিতে আবাদ হতে পারে। ফলে এবার আমন আবাদে বেশি জোর দিচ্ছে সরকার। বীজ ও সারে বাড়তি প্রণোদনা দেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে সরকারের। এরইমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে আমনের বীজতলাও তৈরি করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
জানতে চাইলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ সারাবাংলাকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আউশের রোপণ কাজ ৭৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। ৯ লাখ ৯৫ হাজার হেক্টর জমিতে আউশের রোপণ শেষ হয়েছে। আশা করছি আমরা লক্ষ্যমাত্রার ৮৫ শতাংশ অর্জন করতে পারবো। কিন্তু এবার আউশের লক্ষ্যমাত্রার পুরোটা অর্জন করা সম্ভব হবে না।’
তিনি বলেন, ‘আউশের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে না ধরেই আমরা আমনে জোর দিচ্ছি। কারণ এবার আউশের আবাদ কম হবে। আমনে সাধারণত আমরা ৫৭ থেকে ৫৮ লাখ হেক্টর জমি আবাদের লক্ষ্য নিই। মৌসুমটিতে দেড় কোটি টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা থাকে। এবার এখনও আমরা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করিনি। আমনে সার ও বীজ বেশি হারে প্রণোদনা দেওয়া হবে।’
আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই থেকে আমনের বীজতলা তৈরি শুরু হবে। জুনের শেষ দিকেও অনেক জায়গায় শুরু হয়। এখন যারা বীজতলা তৈরি করছেন তারা আগাম আমন আবাদ করবেন।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সরেজমিন উইংয়ের তথ্যমতে, দেশে এবার আউশ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ১৩ লাখ ৩০ হাজার হেক্টর। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত আবাদ হয়েছে ৯ লাখ ৯৫ হাজার ৩৮৩ হেক্টর জমিতে। গেল বছর আউশ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১১ লাখ হেক্টর। তবে আবাদ হয়েছিল ১২ লাখ হেক্টর জমিতে। সব মিলিয়ে এবার দেড় লাখ হেক্টর বেশি জমিতে আউশ আবাদের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার।
তথ্যমতে, আউশের বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ৬৯ হাজার ১২৩ হেক্টর। বীজতলা তৈরি হয়েছে ৬১ হাজার ৭৫৫ হেক্টর জমিতে। সাধারণত আউশ ১৬ মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত রোপণ করা হয়ে থাকা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, দেশের ৪ জেলা ময়মনসিংহ, শেরপুর, নেত্রকোণা ও জামালপুরে আউশ তেমন জনপ্রিয় নয়। এই চার জেলায় এবার আউশ আবাদের লক্ষ্য ছিল মাত্র ৩৪ হাজার ১৫৭ হেক্টর। আবাদ হয়েছে ২৫ হাজার ৩৬ হেক্টর জমিতে।
এদিকে, দেশে আমনের বীজতলা তৈরিও শুরু হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে কৃষকরা এখন আমনের বীজতলা তৈরি করছেন।
সারাবাংলা/ইএইচটি/এমও