Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কর্মক্ষেত্র হোক পোশাকশিল্প


১২ ডিসেম্বর ২০১৭ ২০:২৭

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

প্রশিক্ষণ ও গবেষণার মাধ্যমে দেশের পোশাক খাতকে এগিয়ে নিতে হবে। একই সাথে এ খাতটিকে নিজেদের হৃদয়ে ধারণ করতে হবে। লেখাপড়া শেষে বের হয়ে আসা খাতটির উন্নয়নে শ্রমিক, মালিক, সরকার ও উন্নয়ন সহযোগী সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।

মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর বিজিএমইএ ভবনে আয়োজিত ‘স্টেকহোল্ডার’স শেয়ারিং মিটিং আইএলও আরএমজি সেন্টার অব এক্সিলেঞ্জ প্রজেক্ট’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তাদের আলোচনায় এসব কথা উঠে আসে। সেন্টার অব এক্সিলেন্স ফর বাংলাদেশ অ্যাপারেল ইন্ডাস্ট্রি (সিবাই), এইচএন্ডএম ও আইএলও’র যৌথ সহায়তায় এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুইডেনের রাষ্ট্রদূত চারলোটা স্কালাইটার বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকান্ডে সুইডেন সব সময় পাশে ছিল এবং থাকবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘দক্ষ কর্মী গড়ে তুলতে সিবাই তাদের প্রশিক্ষণের ধারা অব্যাহত রাখবে । ধীরে ধীরে এর মাধ্যমে আরও বেশি সংখ্যক কর্মী প্রশিক্ষিত হয়ে উঠবে। এরাই এক সময় কারখানার জন্যে সফলতা বয়ে আনতে পারে।’

অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘প্রযুক্তি প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। এখানে আমরা কীভাবে খাপ খাওয়াতে পারি, প্রশিক্ষণের সাথে সাথে তা গবেষণার মাধ্যমেও বের করে আনতে হবে। তিনি আরও বলেন, পোশাক খাতকে শ্রমিকদের হৃদয়ে ধারণ করতে হবে। নিজেরা চেষ্টা না করলে এ খাতের উন্নয়ন সম্ভব নয়।’

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘দেশের তরুণেরা লেখাপড়া শেষে এ খাতে আসছে না তার কারণ হচ্ছে দেশের মানুষের মানসিকতা। কারণ, বিয়ে করতে গেলে এখনো বলা হয় ছেলে গার্মেন্টেসে চাকরী করে! বিয়ে হবে না!’

বিজ্ঞাপন

আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর শ্রীনিবাস রেড্ডি বলেন, ‘উন্নয়ন সহযোগীদের সাথে সম্মিলতভাবে কাজ করে তৈরি পোশাক খাতকে এগিয়ে নিতে হবে। ফ্যাক্টরির মালিকেরা যদি চায় তবে তাদের কর্মীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে তুলতে পারে। এবং তা হবে দেশের জন্য মঙ্গলজনক। সিবাই যে সুযোগ নিয়ে এসেছে আইএলও তাতে তার সহযোগিতা অব্যাহত থাকতে রাখবে। আরও বলেন, বাংলাদেশের তরুণেরা এখনো তেমনভাবে গার্মেন্টস সেক্টরে আসছে না। বিশেষত উপরের দিকে তাদের লক্ষ্য করাই যাচ্ছে না।’

অনুষ্ঠানে সিবাই সভাপতি আতিকুর ইসলাম বলেন, ‘পোশাক খাতে দৃশ্যমান চ্যালেঞ্জ ছাড়াও অনেক লুপ্ত প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রয়োজন।’

আইএলও’র পোগ্রাম অফিসার খাদিজা খন্দকার বলেন, ‘ডেনিম ও নীটওয়্যার খাতে দক্ষ কর্মী তৈরিতে সিবাই কাজ করছে। ইতোমধ্যে সিবাই থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে প্রায় ১ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। সংগঠনটি প্রতিবন্ধীদের দক্ষ কর্মী হিসেবে গড়ে তুলতেও কাজ করছে।’

প্রশিক্ষণ নিয়ে বীকনগ্রুপে কাজ পাওয়া আরেফিন আক্তার বলেন, অনেক ফ্যাক্টরির দরজায় দরজায় ঘুরেছি। সবাই ফিরিয়ে দিয়েছে। আমার এক বোনের কাছ থেকে শুনে সিবাই ট্রেনিং সেন্টার থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজ পেয়েছি। প্রতিবন্ধী শিরিন আক্তার ৬ বছর ধরে তারাসিমা গ্রুপে কাজ করছেন। তাকে কাজ দেয়ায় প্রতিষ্ঠানটির প্রতি ধন্যবাদ জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে আয়োজকরা জানান, এখন পর্যন্ত সিবাইয়ের অধীনে ১০ টি কারখানার শ্রমিক প্রশিক্ষণ শেষে ৬ হাজার শ্রমিক বিভিন্ন পোশাক কারখানায় কাজ করছে।

সারাবাংলা/ইএইচটি/টিএম/জেডএফ

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

কোস্ট গার্ডের নতুন ডিজি জিয়াউল হক
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:৩২

সম্পর্কিত খবর