আ.লীগের ১৯৪৯ থেকে ২০২১: ভাসানী-মুজিব হয়ে শেখ হাসিনার ৪ দশক
২৩ জুন ২০২১ ০৮:০০
ঢাকা: ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন। আজ থেকে ঠিক ৭২ বছর আগের দিন। ভারতভাগের মাত্র দুই বছর পেরিয়েছে। এর মধ্যেই রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন শাসকের নামে শোষকগোষ্ঠীর শোষণ-বঞ্চনার শিকার সদ্য স্বাধীন হয়ে একটি দেশের একাংশের জনগণ। সেই শোষণ-বঞ্চনার বিপরীতে দাঁড়িয়ে অধিকার আদায়ের প্রত্যয় নিয়ে অগ্রচিন্তার কিছু রাজনীতিবিদের সঙ্গে কিছু তরুণ তুর্কির সংমিশ্রণে যাত্রা শুরু করলো একটি রাজনৈতিক দল। যে উদ্দীপনা, যে স্বপ্ন বুকে নিয়ে সেই দলে যাত্রা শুরু, ৭২ বছরের পথপরিক্রমায় সময়ের চাহিদা মিটিয়ে তার সবটুকুই বাস্তবায়ন করেছে সেই রাজনৈতিক দলটি। ৭২ পেরিয়ে ৭৩-এ পা দেওয়া সেই দলটিই আওয়ামী লীগ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের যে দলটিকে আজ নেতৃত্ব দিয়ে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা।
পাকিস্তান নামের যে রাষ্ট্রে এই আওয়ামী লীগের যাত্রা শুরু, সেই রাষ্ট্রটির ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী প্রতিষ্ঠার পর থেকেই জানিয়ে আসছিল, তারা সাম্যে বিশ্বাসী নয়। বিভেদ আর বৈষম্যের চর্চায় তারা আজকের বাংলাদেশ, তখনকার পূর্বপাকিস্তানের ভূখণ্ডের অধিবাসীদের মানুষ হিসেবে গণ্য করেনি। ধীরে ধীরে সেই বঞ্চনা এতটাই প্রকট হয়ে উঠতে থাকে যে এই ভূখণ্ডের মানুষ স্পষ্ট বুঝতে পারে— স্বাধীনতা ছাড়া আর কোনো পথ নেই। আর সেই স্বাধীনতা-সংগ্রামের পথে যে দলটি পথ দেখিয়েছে, বাঙালি জাতিত্তাকে নিজেদের চিনতে শিখিয়েছে, সেই দলটির নামই আওয়ামী লীগ। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান স্বাধীনতা পর্যন্ত প্রতিটি ধাপেই আন্দোলন-সংগ্রামের পুরো ছিল এই দলটিই। আর সেই স্বপ্নের বীজ বপনের পর জল-হাওয়ায় লালন-পালন করেছিলেন, সেই স্বপ্নকে মানুষের মাঝে যিনি ছড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
এ তো গেল স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ের কথা। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই আওয়ামী লীগ ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশ পুনর্গঠনের কাজে। কিন্তু পঁচাত্তরের ঘাতকের বুলেট থামিয়ে দেয় সেই যাত্রা। কলঙ্কিত এক কালরাতে কেড়ে নেওয়া হয় জাতির জনকের প্রাণ। এরপর শুরু হয় দেশের পেছনপথে যাত্রা। কখনো সামরিক শাসন, কখনো গণতন্ত্রের ছদ্মবেশে একনায়কতন্ত্র— যে গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষায় মহান মুক্তিযুদ্ধে লাখো শহিদ প্রাণ দিয়েছেন, তা থেকে তখন যোজন যোজন দূরে বাংলাদেশ।
শেষ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুকন্যা এক ভীষণ প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নির্বাসন ভেঙে দেশে ফিরলে ফের যেন প্রাণ ফিরে পায় আওয়ামী লীগ। এবার শুরু হয় গণতন্ত্রের পথে ফিরে আসার লড়াই। সে লড়াইয়ের ধারাবাহিকতায় সেনাশাসনের অবসান ঘটে। শুরু হয় সংসদীয় গণতন্ত্রের যাত্রা। সেবার না হলেও পরের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২১ বছর পর ফের ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। শুরু হয় মানুষের ভাগ্য বদলের কাজ। ২১ বছরের পশ্চাৎপদতা সেই পাঁচ বছরের মেয়াদে অতিক্রম করা যায়নি। তবে নানা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে সুযোগও পায়নি আওয়ামী লীগ। পেয়েছে সেবারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আট বছর পর। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। টানা তিন মেয়াদে সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনার ধারাবাহিকতা তাতে ছেদ পড়েনি। তাই দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা আজ বিশ্বের বুকে বিস্ময় হয়ে ধরা দিয়েছে। বিশ্বের এই মহামারির সংকটকালেও এই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে থাকা শেখ হাসিনাও বিশ্বনেতৃত্বের মডেলে পরিণত হয়েছেন।
এভাবেই দেখতে দেখতে ৭২ বছর পরিয়ে ৭৩ বছরে পা দিতে দিতে বাংলাদেশ আর আওয়ামী লীগকে বিচ্ছিন্ন করে দেখার কোনো অবকাশই আর খুঁজে পাওয়ার জো নেই। বঙ্গবন্ধু, আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ— এই শব্দগুলো বাংলাদেশ, স্বাধীনতা, স্বাধীন মানচিত্র আর স্বাধীন পতাকার সমার্থক। আর শেখ হাসিনা সমার্থক বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি, জনকল্যাণের। এই দলের প্রতীক নৌকা মানেই সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাহন।
আওয়ামী লীগ মানেই বাঙালি জাতীয়তাবাদের মূল ধারা। আওয়ামী লীগ মানেই সংগ্রামী মানুষের প্রতিচ্ছবি। বাঙালি জাতির মুক্তির মূলমন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে গণতান্ত্রিকভাবে জন্ম নেওয়া উপমহাদেশের প্রাচীনতম ও ঐতিহ্যবাহী বৃহৎ রাজনৈতিক দলটি ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে আজ। স্বাধীনতা সংগ্রাম আন্দোলনে হাজারও নেতাকর্মীর রক্ত ও আত্মদানে দলটি এখন রাজনৈতিক মহীরুহ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। পুরান ঢাকার রোজ গার্ডেনে যে দলটির প্রতিষ্ঠা, সেই দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এখন বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে সুরম্য ১০ তলা ভবনে।
১৯৪৯ সালে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে যে দলের শুরু, সেই দলটির জনমানসের কল্যাণের আদর্শিক ভাবধারা গড়ে ওঠে মূলত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে। তার নেতৃত্বেই স্বাধীনতা-স্বাধিকারের আন্দোলনের পথে নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত হয় আওয়ামী লীগ। তবে ঐতিহ্যবাহী এই দলটির ৭২ বছরের পথপরিক্রমায় ঠিক ঠিক চার দশক বা ৪০ বছর ধরে নেতৃত্বে রয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। অর্থাৎ দলের বয়সের অর্ধেকেরও বেশি সময় ধরে তিনিই হাল ধরে রয়েছেন দলটির। আর দলে এখন পর্যন্ত তার কোনো বিকল্প আছে বলেও মনে করেন না কেউ। এমনকি শেখ হাসিনা নিজে গত কয়েক বছর ধরেই দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীসহ বিভিন্ন আয়োজনে রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার ইঙ্গিত দিলেও নেতাকর্মীরা সে ভাবনা ভাবতেই নারাজ।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব: ভাসানী-মুজিব থেকে শেখ হাসিনা
একনজরে দেখে নেওয়া যাক, এই দলের এখন পর্যন্ত হয়ে যাওয়া ২১টি কাউন্সিলের কোনটিতে কারা এসেছেন নেতৃত্বে—
১৯৪৯ সালের ২৩ ও ২৪ জুন ঢাকার কে এম দাশ লেনের কে এম বশির হুমায়ূনের বাসভবন ‘রোজ গার্ডেনে’ (হুমায়ুন সাহেবের বাড়ি বলে পরিচিত) প্রতিষ্ঠাকালীন সম্মেলন হয় আওয়ামী লীগের। ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’ নামে সেই সংগঠনের সভাপতি করা হয় মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে, সাধারণ সম্পাদক হন টাঙ্গাইলের শামসুল হক। কারাবন্দি শেখ মুজিবুর রহমানকে যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।
১৯৫৩ সালে দলের প্রথম কাউন্সিলেও সভাপতি ছিলেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। সেবার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ভাসানী-মুজিব আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ছিলেন কয়েকবছর। এর মধ্যে ১৯৫৭ সালে কাগমারি সম্মেলনে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে মওলানা ভাসানীর অনুসারীদের মতবিরোধ প্রকাশ্য হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে ভাসানী আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করেন, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) নামে পৃথক একটি দলও গঠন করেন। তবে ১৯৫৭ সালেই অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে ভাসানীর পদত্যাগপত্র নিয়ে আলোচনা হলেও গৃহীত হয়নি। ফের তাকেই সভাপতি ও বঙ্গবন্ধুকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা করা হয়। শেষ পর্যন্ত ১৯৬৪ সালে বঙ্গবন্ধুকে সাধারণ সম্পাদক পদে বহাল রেখে মাওলানা আবদুর রশিদ তর্কবাগীশকে সভাপতি ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ। এই জুটিও দুই মেয়াদে দলের নেতৃত্ব দেন।
টানা ১৩ বছর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসা বঙ্গবন্ধুকে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয় ১৯৬৬ সালের সম্মেলনে। সেবার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান তাজউদ্দিন আহমদ। এরপর ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন বঙ্গবন্ধু। এর মধ্যে ১৯৭২ সালে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন জিল্লুর রহমান। আর ১৯৭৪ সালে দলীয় গঠনতন্ত্র সংশোধন করে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার সদস্যদের দলের নেতৃত্বস্থানীয় পদে থাকার সুযোগ বন্ধ করে দিলে সভাপতির পদ ছেড়ে দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেবার এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে সভাপতি ও জিল্লুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে আওয়ামী লীগ।
পঁচাত্তরে জাতির পিতাকে হত্যার পর একপর্যায়ে দেশে রাজনৈতিক বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছিল। ওই সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নেতাদের এক বর্ধিত সভায় মহিউদ্দিন আহমেদকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাজেদা চৌধুরীকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করা হয়। ১৯৭৭ সালে দলের অভ্যন্তরে বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দিনকে আহ্বায়ক করে একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়। পরে ১৯৭৮ সালের কাউন্সিলে আবদুল মালেক উকিলকে সভাপতি ও আবদুর রাজ্জাককে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণাকরে কমিটি হয় আওয়ামী লীগের।
দলের ভেতরকার দ্বন্দ্ব-কোন্দল তখনো নিরসন হয়নি। অভ্যন্তরীণ বিশৃঙ্খলা তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছিল। এমন অবস্থায় ১৯৮১ সালের সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে তার অনুপস্থিতিতেই দেওয়া হয় আওয়ামী লীগের দায়িত্ব। তার সঙ্গে আবদুর রাজ্জাক সাধারণ সম্পাদক পুনঃনির্বাচিত হন। এরপর আর কখনো নেতৃত্বের সংকটে পড়তে হয়নি দেশের প্রাচীনতম এই রাজনৈতিক দলকে। শেখ হাসিনা একহাতেই সামলে আসছেন দলকে গত চার দশক ধরে। দলের নেতাকর্মীদেরও তার প্রতি আনুগত্য নিয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। গত চার দশকে কেবল তার সঙ্গে ডেপুটি অর্থাৎ সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে এসেছে পরিবর্তন। এই চার দশকে এই দায়িত্ব পেয়েছেন সাজেদা চৌধুরী, জিল্লুর রহমান, মো. আবদুল জলিল, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এবং ওবায়দুল কাদের।
উন্নত দেশের স্বপ্ন পূরণের কারিগর শেখ হাসিনা
দলের নেতাকর্মীদের ভাষ্য, শেখ হাসিনা কেবল আওয়ামী লীগ নয়, বাংলাদেশের জন্য বিকল্পহীন নেতৃত্ব। যে প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতা দিয়ে তিনি দল ও দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, অন্য কারও পক্ষে সেটি সম্ভব নয়। জাতির জনক স্বাধীনতা দিয়েছেন, সেই স্বাধীন দেশকে অর্থনৈতিক মুক্তি দিয়ে সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশে রূপান্তরের কারিগর হিসেবে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। সে কারণে শেখ হাসিনা নিজে যতই অবসর নেওয়ার আগ্রহের কথা আকারে-ইঙ্গিতে বলে থাকেন না কেন, তার বিকল্প খুঁজতে এখনই রাজি নয় আওয়ামী লীগ।
বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক ভিডিওবার্তায় বলেন, অনেক বাধা অতিক্রম করে সাধারণ জনগণের ভালোবাসায় অত্যন্ত দক্ষতা, সততা ও সফলতার সঙ্গে দেশের সেবা করে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশ পরিচালনায় বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রমাণ করেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলেই দেশের মানুষ নিরাপদে থাকে।
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর আরেক সদস্য তোফায়েল আহমেদ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক নিবন্ধে শেখ হাসিনা প্রসঙ্গে লিখেছেন, নিষ্ঠা-সততা-দক্ষতার সঙ্গে তিনি ৪০ বছর আওয়ামী লীগকে পরিচালনা করছেন। আজ বাংলাদেশকে তিনি অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। আমরা বিশ্বাস করি, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত স্বপ্ন-বাংলাদেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলায় রূপান্তরিত করার মহান কর্ম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই সমাপ্ত হবে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন সারাবাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, বঙ্গবন্ধু একজন শেখ হাসিনা রেখে গিয়েছিলেন। তার সৎ ও সাহসিক নেতৃত্ব, দক্ষতা এবং দেশপ্রেম আছে বলেই সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে দাঁড়িয়েছে।
সারাবাংলা/টিআর
৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী