‘বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন নিশ্চিত করছে সরকার’
২৩ জুন ২০২১ ২০:১০
ঢাকা: ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ। এ পর্যায়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে সরকার। এই কর্মকৌশল বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাস্তুচ্যুতি প্রতিরোধ এবং বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীকে যথাযথভাবে পুনর্বাসন করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
বুধবার (২৩ জুন) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক জাতীয় কৌশলপত্র বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন’ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর জৈবিক ও আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীকে একীভূত করা হবে। বাংলাদেশ তাদের জীবনমান উন্নয়ন নিশ্চিত করে টেকসই উন্নয়ন, অভীষ্ট ও বদ্বীপ পরিকল্পনার লক্ষ্য অর্জনে সরকার কাজ করছে।
ডা. এনামুর বলেন, বিশেষ ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ প্রতিনিয়ত বন্যা, গ্রীষ্মকালীন ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস ও খরাসহ বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হয়ে থাকে। এসব দুর্যোগ নাজুক ও ঝুঁকিপূর্ণ সামাজিক অবস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়ে মানুষের প্রাণহানি, অবকাঠামোর ক্ষতি এবং জীবন ও জীবিকার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। অনেক ক্ষেত্রেই পরিবার কিংবা এলাকাবাসী তাদের বসত বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বর্তমানে যে পরিমাণ বাস্তুচ্যুতি ঘটছে, তার মাত্রা ও তীব্রতা আসন্ন বছরগুলোতে আরও অনেক বেশি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এসব কারণে জলবায়ু পরিবর্তনের একক বৃহত্তম ক্ষতিকর রূপ হতে যাচ্ছে অভিবাসন ও বাস্তুচ্যুতি।
সরকারের পরিকল্পনা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার ২১০০ সালের মধ্যে নিরাপদ, জলবায়ু সহিষ্ণু এবং সমৃদ্ধ ব-দ্বীপ অর্জনের লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২০২১’ প্রণয়ন করেছে। এই পরিকল্পনায় প্রতীয়মান হয় যে দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিবাসন ও বাস্তুচ্যুতি নগরায়নের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে। তাই সুশৃঙ্খল অভিবাসন ব্যবস্থা পদ্ধতির মাধ্যমে নগরগুলো থেকে এই চাপ সুষ্ঠুভাবে কমিয়ে আনার লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।
সভাপতির বক্তৃতায় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন বলেন, বাংলাদেশ সরকারের রূপকল্প হচ্ছে মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি সাধন করে ২০৩০ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্য দূর করে বাংলাদেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা। এর ধারাবাহিকতায় ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলা।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সরকারের এই কৌশলগত রূপকল্পের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই লক্ষ্য অর্জনে সরকার বৃহত্তর সামাজিক উন্নয়ন কাঠামোর (SDF) মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক নীতিমালা, কর্মপরিকল্পনা এবং কৌশল ঢেলে সাজাচ্ছে এবং নতুন করে প্রণয়ন করছে।
সারাবাংলা/জেআর/টিআর