Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

স্মুথ ট্রানজেশন স্ট্রাটেজি করবে বাংলাদেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৪ জুন ২০২১ ০১:১১

ঢাকা: করোনা প্রেক্ষাপটে এলডিসি উত্তরণ সহজ করতে ‘স্মুথ ট্রানজেশন স্ট্রাটেজি’ করবে বাংলাদেশ।  অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সংশ্লিষ্ট সকল অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে এই স্ট্রাটেজিটি তৈরির প্রক্রিয়া সমন্বয় করবে।

বুধবার (২৩ জুন) ‘গ্রাজুয়েশন অব বাংলাদেশ ফ্রম দ্য লিজ ডেভেলপ কান্ট্রি (এলডিসি) ক্যাটাগরিজ এন্ড স্মুথ ট্রানজিশন টুওয়ার্ড সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট’ বৈঠকে এ সব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা ইউ এন ও এইচ আর এল এল এস এবং জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) যৌথভাবে এ বৈঠকের আয়োজন করে।

স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিতকরণ এবং একটি মসৃণ ও টেকসই উত্তরণ নিশ্চিতকরণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে যে ধরনের সহায়তাসমূহ প্রয়োজন হবে তা চিহ্নিতকরণের জন্য সভাটির আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। একই সাথে সহ-সভাপতিত্ব করেন কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি-এর সচিব রোলান্ড মোলেরাস।

অনলাইন এ বৈঠকে অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অধিবেশনে আরও বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক (এস ডি জি বিষয়ক) মিজ জুয়েনা আজিজ, ইউ এন ও এইচ আর এল এল এস এর পরিচালক এবং স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণে সহায়তা সংক্রান্ত জাতিসংঘের ইন্টার এজেন্সি টাস্ক ফোর্স (আই এ টি এফ)-এর সভাপতি হাইডি শ্রডেরাস-ফক্স এবং জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি-এর সদস্য এবং স্বল্পোন্নত দেশ সংক্রান্ত সাব গ্রুপের সভাপতি টাফেরে টেস্ফাশিউ।

বিজ্ঞাপন

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, ‘স্বল্পোন্নত দেশ থেকে একটি মসৃণ ও টেকসই উত্তরণ নিশ্চিতকরণের উপর সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করছে বাংলাদেশ। সেই অনুযায়ী পরিকল্পনাসমূহ বাস্তবায়ন করছে। সেই লক্ষ্যে আমরা টেকসই উত্তরণ প্রক্রিয়াকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে একটি কার্যকর প্লাটফর্ম প্রস্তুত করেছি।

বৈঠকে জানানো হয়, বাংলাদেশ গত ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত সি ডি পি এর সর্বশেষ ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভায় দ্বিতীয়বারের মতো স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণের সকল মানদ- পূরণে সক্ষম হয়েছে এবং উত্তরণের সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছে। কোভিড-১৯ সৃষ্ট বৈশ্বিক মহামারীর প্রেক্ষাপটে সি ডি পি ওই পর্যালোচনা সভায় বাংলাদেশ সহ অন্যান্য উত্তরণরত দেশসমূহকে ২০২১ থেকে ২০২৬ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরব্যাপী প্রস্তুতিমূলক সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। প্রস্তুতিমূলক এই সময়ে সি ডি পি উত্তরণরত দেশসমূহকে নিবিড় নিরীক্ষণ, পর্যালোচনা ও অন্যান্য প্রস্তুতিমূলক কর্মকাণ্ডে প্রয়োজন অনুযায়ী কারিগরি সহায়তা প্রদান করবে।

বৈঠকটি দুটি কর্ম অধিবেশনে বিভক্ত ছিল। প্রথম কর্ম অধিবেশনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ এলডিসি উত্তরণের চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ করণীয় বিষয়ে বক্তব্য দেন। একই অধিবেশনে ই আর ডি সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন একটি উপস্থাপনা দেন। এছাড়া সি ডি পি সচিবালয়ের মিাথায়াস ব্রাকনার এবং মেরিসিনি বোয়ের দুটি প্রথক উপস্থাপনা প্রদান করেন।

বৈঠকের দ্বিতীয় কর্ম অধিবেশনে কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির সদস্য ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ইউ এন ডেসার পরামর্শক ড. ফাহমিদা খাতুন দুটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য প্রফেসর ড. শামসুল আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, পরিকল্পনা কমিশনের শিল্প ও শক্তি বিভাগের সদস্য শরিফা খান এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইয়ামিন চেšধুরী বক্তব্য দেন।

সারাবাংলা/জেজে/একে

অর্থনীতি বিভাগ ইআরডি উন্নয়নশীল দেশ জাতিসংঘ ট্রানজেকশন বাংলাদেশ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর