‘এনআইডি সেবা ইসি থেকে সরানোর তৎপরতায় রাজনৈতিক সংকট বাড়বে’
২৪ জুন ২০২১ ১৬:৫৫
ঢাকা: জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে সরিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেওয়ার প্রক্রিয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের নেতারা।
তারা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে রাজনৈতিক সংকট আরও বাড়বে। আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যেই যে এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা বিশ্বাস করার সমূহ কারণ রয়েছে। জনগণের কাছে সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা যেখানে তলানিতে, সেখানে এরকম সিদ্ধান্ত দেশের মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। সরকারের এই তৎপরতা রাজনীতিতে অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক, অবিশ্বাস ও অনাস্থার জন্ম দেবে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের নেতারা এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, এনআইডি সেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতায় নিয়ে এলে দেশের মানুষ নানাভাবে পুলিশি দৌরাত্ম্য ও হয়রানির শিকার হবে। সেক্ষেত্রে পুলিশের এনআইডি বাণিজ্যও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে কেবল গণদুর্ভোগই বাড়বে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতারা বলছেন, অবাধ-সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতা থাকলেও এনআইডি সেবায় তাদের কার্যক্রম নিয়ে জনগণের মধ্যে অনাস্থা নেই। ফলে নির্বাচন আয়োজন সংক্রান্ত ব্যর্থতার কারণে এনআইডি সেবা তাদের কাছ থেকে সরিয়ে নেওয়া সমীচীন হবে না।
বিবৃতিতে বলা হয়, ছবিসহ ডিজিটাল ভোটার তালিকার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করা হয়। জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে ছোটখাট অনেক অভিযোগ থাকলেও এটা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে গুরুতর অনাস্থা বা অভিযোগ নেই। এনআইডি সংক্রান্ত যেসব সমস্যা ও অভিযোগ রয়েছে, নির্বাচন কমিশনের জনবল ও দক্ষতা বাড়িয়ে তার সমাধান করা যেতে পারে।
এতে আরও বলা হয়, অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনের শোচনীয় ব্যর্থতা এবং প্রকারান্তরে সরকারি দলের পক্ষে ভূমিকা পালন করতে গিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনি ব্যবস্থা ধ্বংস করার বিষয়ে বিদ্যমান নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে গভীর অনাস্থা রয়েছে। এটি সত্য। কিন্তু এর পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনের কাছ থেকে এনআইডি সেবা সরিয়ে নেওয়ার কোনো যুক্তি নেই।
এ পরিস্থিতিতে এনআইডি সেবা নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে সরিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে ন্যস্ত করার তৎপরতা বন্ধের দাবি জানানো হয় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির বিবৃতিতে।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর