Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাবির বাজেটের আকার কমেছে, ঘাটতি ৮.৪৫ শতাংশ

ঢাবি করেস্পন্ডেন্ট
২৪ জুন ২০২১ ২০:০৩

ঢাকা: গত অর্থবছরের তুলনায় ১০ শতাংশ কমিয়ে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বাজেট বরাদ্দ হয়েছে ৮৩১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। যা গত ২০২০-২১ অর্থবছরের ৩৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা কম।

বৃহস্পতিবারর (২৪ জুন) বিকেল চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের বার্ষিক অধিবেশনে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য অনুমোদিত বাজেট উপস্থাপন করেন।

বিজ্ঞাপন

বাজেটে বরাদ্দকৃত অর্থের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালেয় মঞ্জুরি কমিশন (বিমক) দেবে ৬৯৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ৮৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ। এছাড়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৬৫ কোটি টাকা আদায় করা হবে। সর্বমোট ৭০ কোটি ২৫ লাখ টাকা ঘাটতি দেখিয়ে এবারের বাজেট তৈরি করা হয়েছে। এই ঘাটতি মূল বাজেটের ৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এবারের বাজেটে গবেষণা মঞ্জুরী খাতে মোট বাজেটের ১ দশমিক ৩২ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ হয়েছে; টাকার অংকে ১১ কোটি। এর মধ্যে ৯ কোটি টাকা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (বিমক) বরাদ্দ দিয়েছে। বাকি ২ কোটি টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয় থেকে সংগ্রহ করা হবে। এর আগের অর্থবছরে এই খাতে বরাদ্দ ৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

এছাড়া ২০২১-২২ অর্থবছরে বেতন বাবদ ৩১ দশমিক ৮ শতাংশ, ভাতা সহায়তা বাবদ ২৭ দশমিক ১ শতাংশ, সরবরাহ ও সেবা বাবদ ২০ দশমিক ২০ শতাংশ, পেনশন ও অবসর ভাতা বাবদ ১৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ, অন্যান্য ২ দশমিক ৩০ শতাংশ, যন্ত্রপাতি অনুদান বাবদ ১ দশমিক ২১ শতাংশ, যানবাহন অনুদান বাবদ শূন্য দশমিক ৬৩ শতাংশ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সরঞ্জমাদি বাবদ শূন্য দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং অন্যান্য মূলধন অনুদান বাবদ শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

অধিবেশনে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ ২০২০-২১ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটও উপস্থাপন করেন। এতে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট সংশোধন করে বিমক মূল বাজেট থেকে ৯৫ কোটি ২৭ লাখ ৫৮ হাজার টাকা কমিয়ে ৭৭৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে।

করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে শিক্ষার্থীদের গত দুইবছরের আবাসিক হল ও পরিবহন ফি মওকুফ করার দাবি জানিয়ে সিনেট অধিবেশনে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন সাদেকা হালিম বলেন, ‘করোনাভাইরাস সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন ধরে হল বন্ধ। সেখানে পানি-বিদ্যুৎ বাবদ কোনো ব্যয় হয়নি। কিছু টাকা হয়তো মনিটাইজেশনে হয়েছে। এদিকে পরিবহন তো একেবারেই ব্যবহার করা হয়নি। সেই জায়গা থেকে আমি বলব, এই দুই বছরের আবাসন ও পরিবহন ফি মওকুফ করা হোক।’

স্বল্প সময়ের মধ্যে আবাসিক-অনাবাসিক সকল শিক্ষার্থীকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে সিনেট সদস্য ও ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যেই ভ্যাকসিনের আওতায় এলেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এখনও আসেনি। অথচ এই ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ নির্দেশনা আছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আহ্বান জানাব, স্বল্পতম সময়ের মধ্যে সকল শিক্ষার্থীকে ভ্যাকসিনের আওতায় এনে ক্যাম্পাস খোলার ব্যবস্থা করুন।’

এ সময় ডাকসু নির্বাচনের ধারাবাহিকতা যেন বজায় থাকে— এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতা ও সদিচ্ছা কামনা করেন সাদ্দাম হোসেন।

সাময়িক বহিষ্কারের সময় নির্ধারণের দাবি জানিয়ে অধিবেশনে সিনেট সদস্য ও ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস বলেন, ‘সাময়িক বহিষ্কারের একটি সময়সীমা নির্ধারণ করা উচিত বলে মনে করছি। বিভিন্ন অনৈতিক কাজের লিপ্ত হয়ে অনেক শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কারাদেশ পান। কিন্তু নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা না থাকায় নানা জটিলতায় তাদের অনেকেই ছাত্রত্ব হারান।’

সারাবাংলা/পিটিএম

টপ নিউজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাজেট বরাদ্দ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর