আসামি শনাক্তে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহারে হাইকোর্টের রুল
২৮ জুন ২০২১ ২০:১৩
ঢাকা: প্রকৃত আসামি শনাক্তে দেশের সব কারাগারে ফিঙ্গারপ্রিন্ট, থামপ্রিন্ট (হাতের তালু) ও আইরিশ স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না— তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব ও কারা মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। সোমবার (২৮ জুন) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
চট্টগ্রামে একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামির পরিবর্তে আরেকজনের জেল খাটার ঘটনায় হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের ধারাবাহিকতায় এ রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. বশির উল্লাহ। আর চট্টগ্রামের ওই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট তিন আইনজীবীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল।
এর আগে গত ৭ জুন যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কুলসুম আক্তার ওরফে কুলসুমীর পরিবর্তে জেল খাটা মিনুকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
পাশাপাশি এ ঘটনায় চট্টগ্রামের নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২’র স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর এম এ নাছের, আইনজীবী নুরুল আনোয়ার, আইনজীবী বিবেকানন্দ চৌধুরী ও আইনজীবী সহকারী সৌরভকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছিল।
আদালতের নির্দেশনা অনুসারে আজ তারা আদালতে হাজির হন। এ সময় আইনজীবী শিশির মনির আদালতকে বলেন, গত দুই বছরে দেশে এমন ২৬টি ঘটনা ঘটেছে। যেখানে একজনের নামে আরেকজন জেল খাটতে হয়। এ ধরনের ঘটনা রোধে দেশের জেলগুলোতে বিদেশের মতো এই বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করতে নির্দেশনা চান। তখন আদালত আসামি শনাক্তে দেশের সব কারাগারে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালুর প্রশ্নে রুল জারি করেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এনএস
আসামি শনাক্ত কারাগারে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি টপ নিউজ হাইকোর্টের রুল