‘পোশাক কারখানা খোলা বা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত দেবে মন্ত্রিপরিষদ’
২৯ জুন ২০২১ ১৯:১৬
ঢাকা: করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করতে যাচ্ছে সরকার। এই বিধিনিষেধ চলাকালে তৈরি পোশাক শিল্প কারখানা খোলা রাখতে শিল্প মালিকরা যে অনুরোধ জানিয়েছেন, সে বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সিদ্ধান্ত জানাবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
মঙ্গলবার (২৯ জুন) সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
বিধিনিষেধে গার্মেন্টস শিল্পের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত হচ্ছে— এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘সিদ্ধান্তটি মন্ত্রিপরিষধ বিভাগ থেকে আসবে। এখন পর্যন্ত আমরা কোনো নির্দেশনা পাইনি। হয়তো আজ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যার পরে এ ব্যাপারে বিস্তারিত সিদ্ধান্ত হবে। তার আগে কথা বলাটা ঠিক হবে না’।
এসময় গার্মেন্টস মালিকদের বরাত দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘পরিসংখ্যান অনুযায়ী পোশাক কারখানার শ্রমিকদের করোনা আক্রান্তের হার অনেক কম। সেজন্য লকডাউনে সব ধরনের নিয়ম-কানুন মেনে মালিকরা পোশাক কারখানা খোলা রাখতে চান। মালিকরা জানিয়েছেন, পরিসংখ্যান অনুযায়ী—গার্মেন্টস সেক্টরের শ্রমিকদের করোনা আক্রান্তের হার স্বাভাবিকের চেয়ে অর্ধেক। কারণ এই সেক্টরের যারা কাজ করে তারা বাসা থেকে বের হয়ে সোজা ফ্যাক্টরিতে যায়। ফ্যাক্টরিতে ঢোকার সময় তাদের পরীক্ষা করা হয়, তাদের শরীর কেমন সেটি দেখা হয়। তাদের হ্যান্ড স্যানিটাইজ করা হয়, মাস্ক পরানো হয়। আবার একইভাবে তারা বাসায় ফিরে যায়।’
বিধিনিষেধে পোশাক কারখানা খোলা রাখা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যেহেতু ঠিক করেছি বিদেশে পণ্য যাবে, এছাড়া সামনে ঈদ আসছে, বেতন-বোনাসের বিষয় রয়েছে। মালিকরা এমন একটি বিষয় বলেছে, যা আমাদের বিবেচনায় নেওয়া প্রয়োজন হতে পারে। ৪০ লাখ শ্রমিককে যদি ছুটি দিয়ে দেই, গতবারের অভিজ্ঞতা বলে এসব শ্রমিককে আমরা ঢাকা বা ঢাকার আশেপাশে রাখতে পারিনি। দেখা গেছে সবাই সারাদেশে সেই ছড়িয়ে পড়েছে। মালিকদের যুক্তি— এই মানুষদের যদি ছড়িয়ে দেওয়া হয় তাহলে কিন্তু তারা যখন ফিরে আসবে তখন সারাদেশ থেকে তারা অসুস্থতা নিয়ে ফিরে আসতে পারে। তাদের সুরক্ষিত রাখতে পারলে হয়ত বিস্তৃতিটা কমবে। এসব লজিক তারা উপস্থাপন করেছে’।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার। এই বিধিনিষেধের আওতায় সোমবার (২৮ জুন) থেকেই সারাদেশে বন্ধ হয়ে যায় গণপরিবহন। দোকানপাট, রেস্তোরাঁসহ বিনোদনকেন্দ্রও বন্ধ থাকছে। আগামী ১ জুলাই থেকে বিধিনিষেধের আওতা আরও বাড়বে বলে জানা গেছে। তবে পোশাক কারখানা খোলা থাকবে কি না এ ব্যাপারে স্পষ্ট নির্দেশনা এখনও আসেনি।
সারাবাংলা/জিএস/আইই