গণপরিবহন বন্ধ, অফিসগামী যাত্রীদের ভোগান্তি
৩০ জুন ২০২১ ১৭:২৪
ঢাকা: চলছে সীমিত পরিসরের বিধিনিষেধ। আর এই সীমিত পরিসরের বিধিনিষেধে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহন। বুধবার (৩০ জুন) সকাল থেকে অফিসগামী যাত্রীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। একইসঙ্গে মটরসাইকেলেও যাত্রীরা চড়তে পারছেন না।
বুধবার সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে। রাজধানীর কাকরাইল মোড়। সকাল সাড়ে ৯টা। যেকোনো প্রাইভেটকার দেখলেই যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। কাছে গিয়ে জানতে চাইছেন যাওয়া যাবে কি না? কিন্তু অধিকাংশ প্রাইভেটকার ব্যক্তিগত থাকায় যাত্রীদের ক্ষোভের যেন অন্ত ছিল না। অপরদিকে সিএনজি চললেও ভাড়া দ্বিগুণ। ফলে যাত্রীদের মুখ মলিন।
কাকরাইল মোড়ে কথা হয় অফিসগামী যাত্রী হুমায়নের সঙ্গে। তিনি বলেন, এটা হলো গরীর মারার লডডাউন। যাদের ব্যক্তিগত গাড়ি আছে তারা চলাচল করছে, কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু আমাদের তো কোনো গাড়ি নেই। আমরা অফিস যাব কিভাবে? আমার অফিস গুলশান। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দাঁড়িয়ে আছি। কোনো গাড়িও পাচ্ছি না।
পল্টন মোড়। গাড়ি দেখলেই যেন যাত্রীরা পাখির মতো উড়ে উড়ে গিয়ে পড়ছেন। কিন্তু কোনো গাড়িই দাঁড়াচ্ছে না। সবই ব্যক্তিগত গাড়ি।
কথা হয় অফিসগামী যাত্রী রাসেল শেখের সঙ্গে। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ভাই এই কষ্টের কথা আর বলবেন না। অফিস খোলা আবার লকডাউন। কিভাবে চাকরি বাঁচাব বলেন? আমার অফিস উত্তরা। সকাল ৯টা থেকে দাঁড়িয়ে আছি কোনো গাড়ি নেই। আর সিএনজিতে করে যাব, সেই টাকা তো বেতনও পাই না। আমাদের মতো গরীবের কেউ যেন দেখার নেই।
ধানমন্ডি সিটি কলেজের সামনের মোড়। দীর্ঘ সময় ধরে দাঁড়িয়ে আছেন অফিসগামী যাত্রী সাথী ইসলাম। কাছে গিয়ে জানতে চাইলেই গভীর ক্ষোভের সঙ্গে জানান, ভাই আর দুঃখের কথা বলবেন না। এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে দাঁড়িয়ে আছি। আমার অফিস আব্দুল্লাহপুর। কিভাবে যাব বলেন? আমাদের তো গাড়ি নেই। আবার অফিসও খোলা। আমাদের কথা কেউ ভাবে না।
উল্লেখ্য, আগামীকাল থেকে সারাদেশে চলবে কঠোর লডডাউন। আর এই লকডাউনে ঘর থেকে প্রয়োজন ছাড়া বের হওয়া যাবে না। ইতোমধ্যে ডিএমপি কমিশনার বলেছেন, ঘর থেকে প্রয়োজন ছাড়া বের হলে গ্রেফতার করবেন, মামলা দিবেন এবং আদালতে পাঠাবেন। ফলে মাঠে পুলিশ কঠোর থাকবে সেটাও তিনি জানিয়েছেন।
সারাবাংলা/এসজে/এনএস