লকডাউনে খাদ্য-চিকিৎসার নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন: ক্ষেতমজুর সমিতি
৩০ জুন ২০২১ ২০:৪৮
ঢাকা: বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতির নেতারা বলেছেন, করোনা মহামারি থেকে রক্ষায় সরকার ঘোষিত ‘কঠোর লকডাউন’ সফল করতে ক্ষেতমজুরসহ গ্রামীণ শ্রমজীবী মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা ও চিকিৎসার নিশ্চয়তা দিতে হবে।
বুধবার (৩০ জুন) পুরানা পল্টন মোড়ে ক্ষেতমজুর সমিতি আয়োজিত এক সমাবেশে নেতারা বলেন, অতীতে যত লকডাউন হয়েছে তাতে দেখা গেছে ‘দিন আনে দিন খাওয়া’ মানুষ সবচেয়ে বেশি কষ্ট করে। তাদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না পারায় ক্ষুধার তাড়নায় এ সব মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। ফলে করোনা মহামারি মোকাবিলায় গরিব মানুষদের খাদ্য নিরাপত্তা, রেশনিং ব্যবস্থা চালু, গ্রামের মানুষের করোনা টেস্ট ও ভ্যাকসিন দিতে হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যারা পরিকল্পিতভাবে লকডাউন দিতে পেরেছে তারা সফল হয়েছে।
বুধবার সকালে ঢাকার পুরানা পল্টন মোড়ে বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতি আয়োজিত মানববন্ধন-সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. ফজলুর রহমান। বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. আনোয়ার হোসেন রেজা, সহ সাধারণ সম্পাদক অর্ণব সরকার বাপ্পী, হকার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার হায়াত, ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল।
সমাবেশে নেতারা আরও বলেন, বর্তমানে ঢাকা শহর থেকে গ্রামের মানুষ বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। কিন্তু পরিবহন বন্ধ থাকায় তারা পায়ে হেটে, অনেক টাকা খরচ করে শহরের অনিশ্চিত জীবন থেকে বাঁচতে বাধ্য হয়ে তাদের যেতে হচ্ছে।
নেতারা আরও বলেন, করোনাকালে প্রণোদনার নামে বড়লোক ব্যবসায়ীদের জন্য সরকার কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ রাখলেও গরিব মানুষের ভাগ্যে কিছুই জোটে না। গত প্রায় দেড় বছরে করোনাকালে আড়াই কোটি মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছে। অথচ সরকার মাত্র প্রথমবার ৫০ লাখ ও দ্বিতীয়বার ৩৫ লাখ পরিবারকে ২৫০০ টাকা করে প্রণোদনার ব্যবস্থা করে। যেখানে বেশিরভাগই লুটপাট হয়ে যায়।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ আগামী ৭দিন ‘কঠোর লকডাউনে’ কোন গরিব মানুষ যেন ক্ষুধায় কষ্ট না পায় এবং হাসপাতালে যাতে পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা পায় তার নিশ্চয়তার দাবি করে বলেন অন্যথায় ক্ষেতমজুর সমিতির উদ্যোগে জেলা-উপজেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে