আদালতে নির্যাতনের শিকার কিশোরী গৃহকর্মীর জবানবন্দি
৪ জুলাই ২০২১ ০০:১০
ঢাকা: ভাটারা এলাকায় ১৪ বছর বয়সী গৃহকর্মী কুলসুম আক্তার নিজেকে নির্যাতনের কথা জানিয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে।
শনিবার (৩ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলাম তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর ওই কিশোরীকে তার বোন ফাতেমা বেগমের জিম্মায় যাওয়ার আদেশ দেন আদালত।
এর আগে, মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার এসআই বিল্লাল হোসেন ভিকটিম কুলসুম আক্তারকে আদালতে হাজির করে ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন।
জানা যায়, ভাটারার এলাকা আসাদুর রহমানের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে গত এক বছর ধরে কাজ শুরু করেন কুলসুম আক্তার। কাজে সামান্য ভুল হলেই কুলসুমকে লাঠি দিয়ে মারধর, প্লাস দিয়ে মাথার চুল টানা, গায়ের ওপর গরম পানি ঢেলে দেওয়া, গরম খুন্তি দিয়ে ছ্যাঁকা দেওয়াসহ নানা ধরনের নির্যাতন করতেন মাহফুজা।
সর্বশেষ ১৫ জুন ঘর পরিষ্কার করতে দেরি হওয়ায় কুলসুমকে বেধড়ক মারধর করেন আরিফ ও মাহফুজা। এমনকি গরম পানি দিয়ে তার শরীর ঝলসে দেওয়া হয় এবং চুলায় রড গরম করে তার পায়ে চেপে ধরা হয়।
এছাড়া, কুলসুমের মুখ, হাত, পা, পিঠসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন আছে। পরে অসুস্থতার কথা বলে ৩০ জুন কুলসুমকে তার বড় বোন ফাতেমা আক্তারের বাসায় রেখে যান মাহফুজা।
গত ১ জুলাই কুলসুম আক্তারকে নির্যাতনের অভিযোগে তার বোন ফাতেমা বেগম ভাটারা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা আসাদুর রহমান আরিফ এবং তার স্ত্রী মাহফুজা রহমানকে আসামি করা হয়। মামলা দায়েরের পর আরিফকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গত শুক্রবার আরিফের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
সারাবাংলা/এআই/এমও