ফ্রিল্যান্সিং প্রতিযোগিতায় লাখ টাকার পুরস্কার জিতলেন ফাতেমা
৫ জুলাই ২০২১ ১৬:৩২
ঢাকা: ফ্রিল্যান্সিং ইনোভেশন কনটেস্ট ২০২১-এর গ্র্যান্ড ফাইনালে ১ লাখ টাকার পুরস্কার জিতে নিয়েছেন নারী ফ্রিল্যান্সার ফাতেমা মোস্তারী খান। ‘উইমেন স্কিল ডেভেলপমেন্ট ফর ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস’ প্রকল্পের আওতায় ডাচ ফাউন্ডেশন ও কোডারস ট্রাস্ট বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (৪ জুলাই) সন্ধ্যায় ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে এই গ্র্যান্ড ফাইনালের পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সোমবার (৫ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কোডারস ট্রাস্ট এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারাদেশ থেকে ৬০টিরও বেশি উদ্ভাবনধর্মী ফ্রিল্যান্সিং আইডিয়া নিয়ে প্রতিযোগীরা এতে অংশ নেন। দুই রাউন্ডের মাধ্যমে প্রতিযোগীদের বাছাই করে প্রথমে সেরা দশ ও ফাইনাল রাউন্ডের জন্য সেরা পাঁচটি দলকে বাছাই করা হয়। অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত গ্রান্ড ফাইনালে সেই পাঁচটি দল তাদের আইডিয়া ও বিজনেস প্ল্যান বিচারকদের সামনে তুলে ধরে। বিচারকরা ফ্রিল্যান্সিংয়ের আইডিয়াগুলো কতটা প্রয়োগযোগ্য, এর প্রভাব বা ফল কী হতে পারে, এতে ব্যবসা, সেবা কিংবা প্রযুক্তির প্রয়োগ কিভাবে হবে, ব্যবসায়িক পরিকল্পনা ও কৌশল কেমন হবে এবং সার্বিকভাবে এটা মানবতার উন্নয়নে কতটুকু ভূমিকা রাখতে পারে— এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে আইডিয়াগুলোতে নম্বর দেন।
বিচারদের দেওয়া নম্বরের ভিত্তিতেই সেরা ঘোষণা করা হয় ফাতেমা মোস্তারী খানকে। তিনি দেশের সাধারণ ফটোশপ ও কম্পিউটার কম্পোজের বিভিন্ন দোকানে যারা আইটি সেবা দিচ্ছেন, তাদের সংশ্লিষ্ট ও সমন্বিত করে গ্রাফিক্স ডিজাইন ক্যাটাগরিতে ফ্রিল্যান্সিংয়ের আন্তর্জাতিক বাজারে তাদের তুলে আনার স্বপ্নের কথা জানান। প্রকল্পটিকে বাস্তবসম্মত, চিন্তাশীল ও প্রয়োগযোগ্য বলে মত দেন বিচারকরা।
গ্র্যান্ড ফাইনালে আরও অংশ নেন শতাব্দী সরকার, এস এম আজমাইন আসফ, আমির ফয়সাল ও রাশেদ বিন ওমর এবং তাদের দল। চূড়ান্ত পর্বে প্রতিটি দলই উদ্ভাবনী চিন্তার ফ্রিল্যান্সিং প্রকল্প উপস্থাপন করেন। তাদের প্রত্যেকেই পাচ্ছেন পাঁচ হাজার টাকা প্রাইজমানি। প্রতিযোগিতাটির মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের ফ্রিল্যান্সারদের বিভিন্ন সমস্যার সহজ সমাধান খুজে বের করা।
বিজয়ের পর ফাতেমা মোস্তারী খান জানান, তিনি একটি প্ল্যাটফর্ম ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ফ্রিল্যান্সারদের ফ্রিল্যান্সিংয়ের গ্লোবাল মার্কেটে নিয়ে আসতে চান। সেই প্ল্যাটফর্মের আওতাতেই তাদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন করে কাজ পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব মো. আব্দুল করিম। নিউইয়র্ক থেকে অনলাইনে যুক্ত হন কোডারস ট্রাস্ট বাংলাদেশের কো-ফাউন্ডার ও চেয়ারম্যান আজিজ আহমদ, কোডারস ট্রাস্ট বাংলাদেশের চিফ স্ট্র্যাটেজিস্ট মোহাম্মদ মাহাদী উজ জামান ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠিত আইটি ব্যবসায়ী জাহিদ মালেক।
প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমআইএস অনুষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আকরাম হোসেন, কোডারস ট্রাস্ট বাংলাদেশের সিনিয়র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আব্দুল হালিম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক ও অপরাজেয়বাংলা ডটকমের সম্পাদক মাহমুদ মেনন খান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবদুল করিম বলেন, নারীরা দেশের কল্যাণে বিরাট অবদান রেখে যাচ্ছে। পুরুষদের পাশাপাশি নারীরাও সফলতার দিকে অনেক এগিয়ে যাচ্ছেন। তিনি কোডারস ট্রাস্ট বাংলাদেশের এমন আয়োজনকে সাধুবাদ এবং আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।
সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর