Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বুয়েট উদ্ভাবিত ‘অক্সিজেট’ প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনার পরামর্শ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৫ জুলাই ২০২১ ১৮:০৪

ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) উদ্ভাবিত ‘অক্সিজেট’ নামক স্বল্প মূল্যের সি-প্যাপ ভেন্টিলেটর ডিভাইসের অনুমোদন বিষয়ে ব্যবস্থার নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনার পরামর্শ দিয়েছেন হাইকোর্ট। করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের শরীরে অক্সিজেনের চাহিদা পূরণে স্বল্প মূল্যের অক্সিজেট সি-প্যাপ ব্যবহার করে শরীরের অক্সিজেনের ঘাটতি পূরণ করা যায়।

এটি উদ্ভাবন এবং ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পর সংশ্লিষ্ট সংস্থা এটির অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে না। পরে বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অনিক আর হক।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৫ জুলাই) হাইকোর্টের নজরে আনার পর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের একক বেঞ্চ আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ইনোভেটিভ মাইন্ডের। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে আনার জন্য তার মুখ্য সচিবকে লিখিতভাবে জানান। একইসঙ্গে স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক এবং অ্যাটর্নি জেনারেলকেও অবহিত করেন।’

অক্সিজেট সি-প্যাপ প্রকল্পটির আর্থিক সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগের উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ (আইডিয়া) শীর্ষক প্রকল্প, অঙ্কুর ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন এবং মানুষ মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন।

প্রকল্প বাস্তবায়নে নিয়োজিত রয়েছেন বুয়েট বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের মীমনুর রশিদ, কাওসার আহমেদ, ফারহান মুহিব, কায়সার আহমেদ, সাঈদুর রহমান এবং সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে রয়েছেন বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. তওফিক হাসান।

গত ১১ মে বুয়েটের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই যন্ত্র কোনোপ্রকার বিদ্যুৎ শক্তি ছাড়াই শুধুমাত্র অক্সিজেন সিলিন্ডার বা মেডিকেল অক্সিজেন লাইনের সঙ্গে সংযুক্ত করে ব্যবহার করা যাবে।

বিজ্ঞাপন

এতে আরও বলা হয়, করোনা আক্রান্ত রোগীর শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিলে প্রথমে স্বল্প মাত্রায় অক্সিজেন দেওয়া হয়। কিন্তু এই স্বল্প মাত্রায় রোগীর অবস্থার উন্নতি না হলে উচ্চগতির অক্সিজেন প্রবাহ প্রয়োজন পড়ে যা রোগীর অবস্থার অবনতি রোধ করতে পারে। করোনা প্রকোপ শীর্ষে থাকা অবস্থায় আমাদের দেশের হাসপাতালগুলোতে অনেক সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে হাই-ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা যন্ত্র পাওয়া যায় না। এছাড়াও এ যন্ত্রগুলো ব্যয় বহুল ও ব্যবহার কৌশল জটিল হওয়ায় অনেক ক্ষেত্রে দক্ষ কর্মীর প্রয়োজন হয়। সহজে ব্যবহারযোগ্য অক্সিজেট সি-প্যাপ এই ঘাটতি পূরণে সাহায্য করবে।

আইনজীবী অনীক আর হক বলেন, ‘দ্বিতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে অক্সিজেটের। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের কয়েকজন করোনা রোগীকে এ যন্ত্র দিয়ে হাই-ফ্লো অক্সিজেন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ডিজিডিএ এটা ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছে না।’

তখন আদালত বলেন, ‘সরকারের ক্রয়নীতি আছে। বিভিন্ন পদ্ধতি আছে। এই ধরনের ডিভাইস নিয়ে পাবলিক ক্যাম্পেইন দরকার। আপনি (আইনজীবী) এ বিষয়ে স্বাস্থ্য সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে চিঠি দেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী ইনোভেটিভ মাইন্ডের। তার নজরে আনার জন্য মুখ্য সচিবকে চিঠি দেন।’

পরে আইনজীবী অনিক আর হক বলেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেলকে জানিয়েছি। মুখ্য সচিবকেও জানাব।’

সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম

অক্সিজেট প্রধানমন্ত্রী বুয়েট হাইকোর্ট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর