‘ডিজিটাল কমার্সের আওতায় এমএলএম ব্যবসা করা যাবে না’
৬ জুলাই ২০২১ ২১:০৪
ঢাকা: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ডিজিটাল কমার্সের আওতায় নেশা সামগ্রী, বিস্ফোরক দ্রব্য বা অন্য কোন নিষিদ্ধ সামগ্রী বা সেবা ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে না। জুয়া বা অনলাইন বিটিং বা অনলাইন গেমবর্লিংয়ের আয়োজন বা অংশগ্রহণ করা যাবে না। এছাড়া ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতিত কোনো ধরণের লটারির আয়োজন করতে পারবে না। এমনকি মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) বা নেটওয়ার্ক ব্যবসায়ও পরিচালনা করা যাবে না।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে ভার্চুয়ালি ‘ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা-২০২১’ জারির বিষয়ে অবহিতকরণ সংক্রান্ত সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী তিনি এসব কথা বলেন।
টিপু মুনশি জানান, ডিজিটাল ব্যবসা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য ‘ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা-২০২১’ প্রণয়ন করা হয়েছে। গত ৪ জুলাই নির্দেশিকাটি গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা ও অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে এই নির্দেশিকা তৈরি করা হয়েছে। এতে মার্কেটপ্লেসে বিক্রয়যোগ্য পণ্য ও সেবার তথ্য প্রদর্শন ও ক্রয়-বিক্রয়, সাধারণ নিয়মাবলী, মার্কেটপ্লেসে পণ্য বা সেবা বিক্রির জন্য উপস্থাপন, পণ্য ডেলিভারি, অগ্রিম পরিশোধিত মূল্য সমন্বয় ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। যা গ্রাহকদের জন্য সহায়ক হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “পণ্য বিক্রেতা বা তার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে না থাকলে ‘স্টকে নেই’ কথাটি স্পষ্টভাবে পণ্যের পাশে লিপিবদ্ধ করেতে হবে। নিত্যপণ্য ও খাদ্য সামগ্রীসহ কিছু জিনিস সংখ্যায় প্রকাশ করা যায় না- এমন পণ্য বা সেবার ক্ষেত্রে স্টকের পরিমাণের পরিবর্তে ‘অ্যাভেইলেবল ফর ডেলিভারি’ কাথাটি লেখা থাকতে হবে। অগ্রিম মূল্য আদায়ের ক্ষেত্রে প্রদর্শিত পণ্য অবশ্যই দেশের ভিতরে ‘রেডি টু শিপ’ পর্যায়ে থাকতে হবে। সম্পূর্ণ মূল্য গ্রহণের পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ডেলিভারি পারসন বা প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তর করার মতো অবস্থায় নেই এমন পণ্যের ক্ষেত্রে পণ্যমূল্যের ১০% এর বেশি অগ্রিম গ্রহণ করা যাবে না। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত এসক্রো সার্ভিসের মাধ্যমে ১০০% পর্যন্ত অগ্রিম গ্রহণ করা যাবে। বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শিত পণ্যের সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধের পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পণ্য ডেলিভারিম্যান বা ডেলিভারি সংস্থার কাছে হস্তান্তর করতে হবে এবং ক্রেতাকে তা টেলিফোন, ই-মেইল বা এসএমএস’র মাধ্যমে জানাতে হবে।”
টিপু মুনশি বলেন, ‘পণ্যের সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধ করা হয়ে থাকলে ক্রেতা ও বিক্রেতা একই শহরে অবস্থান করলে ক্রয়াদেশ গ্রহণের পরবর্তী সর্বোচ্চ পাঁচ দিন এবং ভিন্ন শহরে বা গ্রামে অবস্থিত হলে সর্বোচ্চ ১০ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি দিতে হবে। পচনশীল দ্রব্য দ্রুততম সময়ে ডেলিভারি দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে এবং ডেলিভারির সময় যাতে পণ্যের কোনো ক্ষতি না হয় সেজন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। যেকোনো ধরণের ঘোষিত ডিসকাউন্ট বিক্রয় কার্যক্রমের সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর করতে হবে। ক্যাশব্যাক অফার মূল্য পরিশোধের পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কার্যকর হতে হবে।’
সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম