Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কিশোরীকে বিয়ের ঘটনায় সেই চেয়ারম্যানকে বরখাস্তের আদেশ স্থগিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৭ জুলাই ২০২১ ১৫:০১

ঢাকা: কিশোরীকে বিয়ের ঘটনায় পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ৬ নম্বর কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত করে মন্ত্রণালয়ের জারি করা আদেশ এক মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (৭ জুলাই) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদারের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।

ওই ঘটনায় গত ২৮ জুন মো. শাহিন হাওলাদারকে সাময়িক বরখাস্ত করে আদেশ জারি করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এর আগে গত ২৭ জুন বিয়ের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ক্ষমতার অপব্যবহার করায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে রুল জারি করেন আদালত।

আদালত আদেশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক (ডিসি), জেলা নিবন্ধক ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে আলাদা আলাদা প্রতিবেদন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবরে দাখিল করতে বলেন। একইসঙ্গে ওই কিশোরীকে নিরাপত্তা দিতে পটুয়াখালীর পুলিশ সুপারকে (এসপি) নির্দেশ দেওয়া হয়।

পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন। এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৮ আগস্ট দিন নির্ধারণ করা হয়। ওইদিন বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম ও ইকরামুল হক টুটুল।

পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে জানা যায়, বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের নজরুল ইসলামের মেয়ের সঙ্গে একই ইউনিয়নের নারায়ণপাশা গ্রামের রমজান নামে এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা দুজন পালিয়ে যায়। বিষয়টি কিশোরীর বাবা কনকদিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারকে জানান। এরপরে চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে কনকদিয়া ইউপি কার্যালয়ে ছেলে ও মেয়ের পরিবারকে যেতে বলেন। সেই অনুযায়ী দুই পরিবারের সদস্য ইউপি কার্যালয়ে যান। সেখানে মেয়েটিকে দেখে পছন্দ হয়ে যায় চেয়ারম্যানের। তিনি মেয়েটিকে বিয়ে করার আগ্রহ দেখান। পরে শুক্রবার দুপর একটায় স্থানীয় কাজী মো. আবু সাদেককে বাড়িতে ডেকে ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে ওই কিশোরীকে বিয়ে করেন চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার।

বিজ্ঞাপন

এদিকে এই বিয়ের পর তা জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়। পরেরদিন ওই একই কাজীর মাধ্যমেই তালাক সম্পন্ন হয়। তবে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার জানান, ওই মেয়ে তাকে স্বামী হিসেবে মেনে না নেওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বর্তমানে মেয়েটিকে তার বাবার সঙ্গে তাদের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।

এরপর গত ২৮ জুন মো. শাহিন হাওলাদারকে সাময়িক বরখাস্ত করে আদেশ জারি করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

সারাবাংলা/কেআইএফ/এএম

টপ নিউজ বাউফল শাহিন চেয়ারম্যান

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

উর্মিলার সংসার ভেঙে যাওয়ার কারণ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:০২

নতুন পরিচয়ে কুসুম সিকদার
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৫৭

সম্পর্কিত খবর