Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আধুনিক হচ্ছে বোটানিক্যাল গার্ডেন, মাস্টারপ্ল্যান অনুমোদন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৭ জুলাই ২০২১ ২০:৩৯

ঢাকা: জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান বোটানিক্যাল গার্ডেন আধুনিকায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সে উদ্যোগে নতুন নতুন প্রজাতির উদ্ভিদ রোপনের পাশাপাশি পরিবর্তন আসবে অবকাঠামো নির্মাণে। শিশু ও বয়স্ক দর্শনার্থীদের ঘুরে দেখার জন্য থাকবে বিশেষ ব্যবস্থা।

বুধবার (৭ জুলাই) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় পুনর্গঠিত মাস্টারপ্ল্যানে অনুমোদন দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ুবিষয়ক মন্ত্রণালয়। ‘জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানের মাস্টার প্ল্যান হালনাগাদকরণ এবং বাস্তুসংস্থান সংরক্ষণসহ অত্যাবশ্যকীয় অবকাঠামো সংস্কার/উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় অনুমোদন দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বোটানিক্যাল গার্ডেনকে ১৩টি জোনে ভাগ করা হবে। প্রতিটি জোনের আগ্রাসী প্রজাতির উদ্ভিদের স্থলে শুধুমাত্র মাস্টারপ্ল্যানে বর্ণিত প্রজাতির উদ্ভিদ রোপণ করা হবে। বোটানিক্যাল গার্ডেনে পরিবেশ ও দর্শনার্থীবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। বর্তমানের ছয়টি প্রবেশ পথের স্থলে দুটি গেট থাকবে। দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে একটি সার্কুলার ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হবে। এছাড়া একটি বাগি সিস্টেম থাকবে, যার মাধ্যমে ছোট্ট খোলা জিপে বয়স্ক দর্শনার্থীরা গার্ডেন ঘুরে দেখতে পারবেন। দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে সুপেয় পানি এবং আধুনিক টয়লেটের ব্যবস্থা করা হবে। অভ্যন্তরীণ রাস্তার আধুনিকায়ন করা হবে।

মাস্টারপ্ল্যানে প্রশাসনিক ভবনের উপরে টিস্যু কালচার ল্যাব স্থাপনের প্রস্তাব করা হয়েছে। একটি ভিজিটর ইন্টারপ্রিটেশান সেন্টার নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। বোটানিক্যাল গার্ডেনের ভেতরের লেক এবং রাস্তার উন্নয়ন প্রস্তাব রয়েছে এই মাস্টারপ্ল্যানে। এছাড়াও কঠিন ও তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। একটি স্কাইওয়াক নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে। বর্তমানের কর্মচারীদের টিনশেড আবাসিক ভবনের স্থলে বহুতল ডরমিটরি করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বোটানিক্যাল গার্ডেনের অভ্যন্তরে আধুনিক পরিবেশ ব্যবস্থাপনার সব ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এই পুনর্গঠিত মাস্টারপ্ল্যানে।

বিজ্ঞাপন

সভায় অন্যান্যের মধ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) আহমদ শামীম আল রাজী, প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসেন চৌধুরী, প্রকল্প পরিচালক হক মোর্শেদসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম

আধুনিক বোটানিক্যা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর